Female Dress For Summer.

Female Dress For Summer


গরমের সময় জামাকপড় খুব বেশী ফিটিংস না হয়ে একটু ঢিলেঢালা হলেই বরং ভালো হয়। যারা হাইনেক পরেন তারা এ গরমে একটু কলার ছাড়া বড় গলা পরে দেখতে পারেন। জামা ও ফতুয়ায় গোল, ভি, চার কোনা ও মেট্রো গলা বেশি চলে। গরমে পোশাকের হাতার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে। মেগি, স্লিভলেস, শর্ট হাতার ব্যবহার চলছে। তবে সূর্যের বেগুনি রশ্মির কথা মাথায় রেখে অনেকে আবার থ্রি কোয়ার্টার হাতা দিয়েও কামিজ, ফতুয়া, ব্লাউজ তৈরি করছে।



গরমের কথা চিন্তা করে অনেকেই স্লিভলেস পোশাক পরে থাকেন। আবার অনেকে হাত কালো হওয়ার ভয়ে ফুল স্লিভ পরছেন। স্লিভলেস বেশ আরামদায়ক এবং ট্রেন্ডি হবে যদি বাসায় ফিরে হাতের যত্নের জন্য একটু সময় রাখেন। আর যারা ফুল স্লিভ পরবেন তারা অবশ্যই ঢিলেঢালা পরবেন। এতে গরম কম লাগবে। অথবা সিফন কাপড়ের ফুল স্লিভ পরতে পারেন।




গরমকালে সাদা রঙের পোশাকের জয়জয়কার সব সময়ই। গরমে সাদা ও অন্যান্য হালকা রঙের পোশাক আরামের পাশাপাশি চোখকে দেয় প্রশান্তি। হালকা গোলাপি, হালকা বেগুনি, হালকা নীল, বাদামি, আকাশি, হালকা হলুদ, ধূসরসহ হালকা রঙের পোশাক এই গরমে প্রাধান্য দিতে পারেন।




গরমে পোশাক বাছাই নিয়ে প্রায়ই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগতে হয় ফ্যাশনপ্রেমীদের। এই গরমে অবশ্যই কৃত্রিম সব পোশাক এড়িয়ে চলতে হবে। পাতলা সুতি কাপড়ের পোশাক পরলে একদিক থেকে যেমন গরম কম লাগবে, অন্যদিকে আরামও লাগবে। ফলে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করা যাবে। পাতলা তাঁত ও খাদি কাপড়ের পোশাকও এ সময় পরা যায়। 




গরমের পোশাকটা হালকা ও আরামদায়ক হওয়াই ভালো। খেয়াল রাখতে হবে পোশাকটা যাতে তাপ শোষণ করে কম। তাই প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য সুতি কাপড়ই আরামদায়ক। তবে ধুপিয়ান, বয়েল, চিকেন ও তাঁতের কাপড় গরমের জন্য বেশ উপযোগী। কোনো উৎসব বা রাতের কোনো পার্টিতে পরতে পারেন লিলেন, মসলিন বা পাতলা চোষা কাতান।


রঙের ক্ষেত্রে সাদা হতে পারে আদর্শ রং। এছাড়াও গোলাপি, জলপাই সবুজ, আকাশি,  হালকা হলুদ, ঘিয়ে হালকা ম্যাজেন্টা এ রংগুলোর হালকা শেড গরমে উপযোগী। কালো বা গাঢ় রঙের পোশাক অতিরিক্ত তাপ শোষণ করে। তাই এ  রঙের কাপড় পরিধান না করাই ভালো।

পুরুষ অথবা শিশুদের পোশাকের রং হালকা ধাঁচের হওয়া উচিত। সাদা, ঘিয়ে, ধূসর, হালকা নীল, বাদামি, গাঢ় বাদামি, অফ হোয়াইটসহ সব রঙেরই কাপড় পাওয়া যায়। ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রে গরমে প্রিন্টেড বা চেক কাপড়ের শার্ট আরামদায়ক। একটু ঢিলেঢালা শার্ট পরলে ঘামে কাপড় নষ্ট হবে না। হালকা রঙের কাপড় ব্যবহার করাই ভালো। যেমন সাদা, হালকা বেগুনি, প্রিন্টেড ফ্রেব্রিক ও লাইট চেক, একরঙা ব্যান্ড কলারের ফতুয়াও পরতে পারেন।

রঙচঙের পোশাক এবং কালো পোশাক এড়িয়ে চলা বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। যথাসম্ভ হালকা রঙের কিংবা সাদা রঙের পোশাক পরা গরমের জন্য উত্তম।




গরমে শরীরে ঘাম জমে ছত্রাক সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। ঘাম শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে বিশেষ করে কুঁচকিতে, আঙুলের ফাঁকে ও জননাঙ্গে জমা হয়ে সেখানে ছত্রাক সংক্রমণের পথ বিস্তার করে দেয়। তাই এ সময়ে ছত্রাক সংক্রমণ এড়াতে হলে শরীরের ভাঁজগুলোতে ঘাম জমতে দেয়া যাবে না।

প্রয়োজনে ছত্রাকবিরোধী পাউডার এসব স্থানে ছড়িয়ে দেয়া যেতে পারে। প্রত্যেক দিন আন্ডারওয়্যার ও মোজা পরিষ্কার করতে হবে।

গরমে শরীরে ঘামাচি দেখা দিতে পারে। ঘামাচির চুলকানি রোধ করতে হলে অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ঘামাচি থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজতে হবে। ঘামাচি থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে কখনো সিনথেটিক পোশাক পরা চলবে না। সব সময় সুতির ঢিলা পোশাক পরতে হবে। শরীরে যাতে ঘাম না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিষ্কার পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করা যেতে পারে। শরীরে ট্যালকম পাউডার বেশি না ঢালাই শ্রেয়। রাতে শোবার সময় শরীরে ঢিলে-ঢালা সুতির পোশাক পরে ঘুমানো ভালো।

গরমে আরাম পাওয়ার জন্য পোশাক নির্বাচনে প্রাধান্য দিতে হবে কাপড়ের ধরন, রং ও ডিজাইনকে। সুতি কাপড় সহজেই ঘাম শুষে নেয় এবং পরতেও আরামদায়ক। মেয়েরা চাইলে সুতির পাশাপাশি অ্যান্ডি, শিফন, কটন, কোটা, ধুপিয়ান, লিলেনের পোশাক নির্বাচন করতে পারেন। সুতির ওপর ব্লকপ্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্ট ও হালকা সুতার কাজ পোশাকে আনতে পারে বৈচিত্র্য।

পোশাকের ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গে মানানসই এমন রং বেছে নেওয়া ভালো। কালো রংকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। কারণ, গ্রীষ্মে রোদের তীব্রতা অনেক বেশি থাকে। আর কালো রঙের পোশাক সূর্যের তাপ বেশি শোষণ করে। ফলে এ রঙের পোশাক পরলে বেশি গরম লাগবে।

No comments:

Post a Comment