Why eat fruit in summer? What fruit do you eat?
গরমে কি কি ফল আপনার শরীর ভাল রাখবে, তার একটি তালিকা দেয়া হল। এই ফলগুলো আপনার শরীর কে ঠাণ্ডা অ শীতল রেখে জোগাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
গরমে ভালো থাকা কি সহজ কথা! প্রকৃতপক্ষে আপনার প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততায় কোনো রদবদল হয় না। সকালে ক্লাস কিংবা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া থেকে শুরু করে বিকেলে বাসায় ফিরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানো, কিছুই বাদ যায় না নিত্যকার রুটিন থেকে। অথচ সবকিছুতেই বিঘ্ন ঘটায় এই অসহনীয় গরম।
গরমের ফল
এরমধ্যেই কখনও যদি কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য সেজেগুজে বের হতে হয়, তবে কিছুক্ষণ বাদেই তার দফারফা। এছাড়া গরমের নানা রকম অসুখ-বিসুখ তো আছেই। কিন্তু অসহ্য গরম বলে কি জীবন থামিয়ে রাখা যাবে। কখনো না। এজন্য প্রয়োজন গরমকে সঠিকভাবে মোকাবিলার কৌশল জানা। আসলে এ সময়ে তো আপনার চেষ্টা করতে হবে স্বস্তিতে থাকার। আর বেশি মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে মৌসুমি ফলসহ অন্যান্য ফল খান ও ঠাণ্ডা শরবত পান করুন।
তাজা ফল কেন খাবেন
গ্রীষ্মকালীন সময়ে বাজারজুড়ে থাকে শুধু ফল আর ফল। এ সময়কার ফলগুলো হলো তরমুজ, লিচু, আম, জাম, কাঁঠাল, আনারস, বেল, আখ, পানিফল, নাশপাতি ইত্যাদি। কলা, পেঁপে সারা বছরই পাওয়া যায়। গরমে প্রচুর ফল খান এবং দেহে সঞ্চয় করুন ভিটামিন ও খাদ্যশক্তি।
তরমুজ
গ্রীষ্মের শুরু থেকেই বাজারে এবং রাস্তার পাশে অনেক জায়গায় স্তূপ আকারে সাজানো থাকে তরমুজ। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে তরমুজকে বলে ফলের রাজা। তরমুজে রয়েছে ত্বকে আর্দ্রতা জোগানোর অসীম ক্ষমতা। তরমুজ ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল। এতে রয়েছে ৯৭% জলীয় অংশ সে জন্য গরমে তরমুজ খাওয়া ভালো, কারণ ক্রমাগত ঘাম হওয়ার জন্য যে জলীয় অংশ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, এটা তা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হজমে সাহায্য করে ও কিডনির কাজকর্ম ঠিক রাখে।
কাঁঠাল
আরেকটি পুষ্টিকর ফল হলো কাঁঠাল। বাজারে প্রথমে কাঁচা কাঠাল ও পরে পাকা কাঁঠাল পাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে উত্তম সবজি। পাকা কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর শর্করা, আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। গ্রীষ্মকালীন সময়ে গ্রাম-বাংলার মানুষ ভাতের পরিপূরক হিসেবে পাকা কাঁঠাল খেয়ে থাকে, কাঁঠালের বিচিও খুব পুষ্টিকর। ফাইবার বা আঁশ কাঁঠালে বেশি থাকার কারণে কাঁঠাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে লিচু আগে বাজারে ওঠে এবং এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। খাদ্যমানের দিক থেকে লিচু একটি উত্কৃষ্ট ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শ্বেতসার, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। রূপে-গুণে লিচু সবার প্রিয় ফল।
আম
পাকা আম হলো ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ফল। ১০০ গ্রাম আমে ১০০০-১৫০০ আইইউ ভিটামিন ‘এ’ থাকে, যার অভাবে অন্ধত্বসহ চোখের নানা রোগ, চুলপড়া, খসখসে চামড়া, হজমের সমস্যা ইত্যাদি দেখা যায়। এছাড়া আমে ভিটামিন বি ও সি, খনিজ লবণ, ক্যালসিয়াম ও প্রচুর খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়। জাম শুধু পাওয়া যায় গরমকালেই। নানা রকম খনিজ পদার্থের মধ্যে জামে আয়রন থাকে সবচেয়ে বেশি। সে জন্য বলা হয় জাম খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। এ ছাড়া সর্দি-কাশি, হজমের গণ্ডগোল ও বাতের অসুখে জাম উপকারী। এ সময়কার আরেকটি সুস্বাদু ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল আনারস। সর্দি-কাশিতে আনারস খেলে শ্লেষ্মা ও মিউকাসকে তরল করে। ফলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
পাকা পেঁপে
ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ফল হলো পাকা পেঁপে। ১০০ গ্রাম ফলে ভিটামিন ‘এ’ থাকে ১১১০ ইউনিট। এ ছাড়া থাকে প্রচুর শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন বিওসি, খনিজ লবণ এবং খাদ্যশক্তি। কাঁচা পেঁপেও অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি। পেঁপের সাদা আঠায় প্যাপেইন নামক এনজাইম থাকে, যা প্রোটিন পরিপাকে সাহায্য করে। পেঁপে সহজপাচ্য। গরমে পেঁপে অথবা সিদ্ধ করা কাঁচা পেঁপে অবশ্যই খাবারের তালিকায় রাখবেন। বেল আরেকটি পুষ্টিকর ফল। এতে আছে প্রচুর শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। গ্রীষ্মের কাঠফাটা দুপুরে ১ গ্লাস বেলের শরবত খেলে কার না প্রাণ জুড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেলের জুড়ি নেই। গরমকালে পানিফল আরেকটি পুষ্টিকর ফল। এতে শতকরা ৪.৭ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় যা আপেল, আঙ্গুর, কলা ও পেয়ারা থেকে বেশি। এ ছাড়া রয়েছে শ্বেতসার, খনিজ লবণের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ইত্যাদি। খাদ্যশক্তি পাওয়া যায় ১১৫ কিলোক্যালরি। ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই খেতে পারে অত্যন্ত পুষ্টিকর, দামে তুলনামূলকভাবে সস্তা, হাতের কাছেই পাওয়া যায় সারা বছরই ফলে এমন একটি ফল কলা। ১০০ গ্রাম কলায় থাকে ১৫৩ কিলোক্যালরি শক্তি, শর্করা ৩৫ ভাগ, খনিজ লবণের মধ্যে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন বি ও সি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ১টি করে কলা আমাদের অবশ্যই রাখা উচিত।
এই গরমে একটু আধটু পরিশ্রমেই বড্ড ক্লান্ত হয়ে পড়ছে শরীর। তাই তৃষ্ণা মেটাতে সঙ্গী করুন এমন সব ফল আর ফলের রস, যেটি ওষুধেরও কাজ করবে।
আপেলের রস
আপেলের রস মস্তিষ্কে অ্যাসিটাইলকোলিনের মাত্রা ঠিক রেখে আলঝেইমার থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। আমাদের মস্তিষ্কে গুরুত্বপূর্ণ একধরনের রাসায়নিক পদার্থ আছে, নাম অ্যাসিটাইলকোলিন। এটি মস্তিষ্কের স্মৃতি অংশের জন্য খুব দরকারি। কোনো কারণে যদি এটির মাত্রা কমে যায়, তাহলে সেই মানুষটি আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত হবে। অর্থাত্, মানুষটি তার ছোট ছোট স্মৃতি হারাবে। এ ক্ষেত্রে আপেলের রস হতে পারে সহজ সমাধান।
আনারসের রস
আনারস তৃষ্ণা তো মেটায়ই, বাড়তি হিসেবে আনারসে থাকে ব্রোমেলেইন নামের এমন একধরনের এনজাইম, যা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট হিসেবে কাজ করে শরীরে। এবং আর্থ্রাইটিসের জন্য হাড়ের সংযোগস্থলের ফোলা ভাব এবং ব্যথা কমিয়ে দেয় আনারস। এক গবেষণায় বলা হয়, যেসব রোগী হাঁটুর ব্যথায় (অস্থিয় আর্থ্রাইটিস) ভুগছেন, তাদের জন্য আনারস সত্যিকারের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
কমলার রস
এখন বছরজুড়ে বাজারে পাওয়া যায় কমলা। কমলার রসে থাকে হেসপেরিডিন নামের একধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি হূদেরাগের ঝুঁকি কমায়। রক্তনালির কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এক গবেষণায় দেখা যায়, যারা দৈনিক ৫০০ এমএল কমলার রস খায়, তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে অন্য ব্যক্তিদের তুলনায় অনেক বেশি।
আঙুরের রস
আঙুরের রস সুস্বাদু তো বটেই, ওজন কমাতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। ওজন কমানোর জন্য শরীর সম্পর্কে সচেতন মানুষ কায়দা-কসরতের অন্ত রাখে না। শরীরচর্চা, আধপেটা খেয়ে থাকা—সবকিছুই চলে সমানে। কিন্তু যারা এতসব ঝক্কিতে যেতে চায় না, তাদের জন্য আছে এক সহজ সমাধান। আঙুরের রস হতে পারে তাদের জন্য একমাত্র ওষুধ।
এছাড়া আপনি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় শসা, গাজর রাখতে পারেন। পাশাপাশি লেবুর শরবত, এবং কচি ডাবের পানি পান করতে পারেন। যা আপনার শরীর-মন দুটোকেই রাখবে সতেজ। আর ত্বকে ফিরে আসবে তারুণ্য আর লাবণ্য।
গ্রীষ্মে সুস্থ থাকবেন এমন নিয়ম
The rules that will stay healthy in summer.
গ্রীষ্মের রোদ্দুরে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি অস্বস্তিতে ভুগে থাকেন। কারণ একজন পুরুষ যত্রতত্র গরমে বদলাতে পারেন তার দেহের পোশাক, কিন্তু নারীরা পারেন না। এ ছাড়া নারীদের শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার কারণে গরম অনভূত হয় বেশি।
চল্লিশোর্ধ নারীদের রজঃনিবৃত্তির পরবর্তী সিনড্রোমে এমনিতেই উসকে দেয় যেন আরো। যেসব নারী গর্ভনিরোধক বড়ি খেয়ে থাকেন, গরমে তাদের অসহ্যতাও বেড়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের সাজগোজের কারণে শরীরে বাতাস ঢুকতে বাধা পায়, এতে গরম বেশি লাগে। গরমে অসুস্থতার হার বেড়ে যায় খুব। মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, মাথা ঝিম ঝিম করা, বমি বমি ভাব, বমি ও দুর্বলতা বিভিন্ন উপসর্গ লেগেই থাকে। কারো কারো গরমে ঘাম বসে গিয়ে কাশি হয় খুব। তাই গরম থেকে রেহাই পেতে কী করণীয় নারীদের।
যত কম প্রসাধন মাখুন
প্রসাধনে শরীরের লোমকূপ আটকে যায় বলে বাতাস ঢুকতে অসুবিধা হয়। তা ছাড়া শরীরের ঘামও বাতাসের সংস্পর্শে বেরিয়ে আসতে পারে না। কোনো কোনো প্রসাধনীতে তৈলাক্ত উপাদান থাকে বলে সেটা কারো ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দেয়। একমাত্র সানস্ক্রিন ক্রিম ছাড়া আর কিছু না মাখাই শ্রেয়। তবে সানস্ক্রিন ক্রিম শুধু মুখে নয়, শরীরের উন্মুক্ত স্থানগুলোতেও মাখতে হবে। কড়া পারফিউম ব্যবহার করা যাবে না। হালকা করে পাউডারের প্রলেপ দিতে পারেন।
বেশি করে সালাদ খান
সালাদ ঠাণ্ডা রাখে শরীরটাকে। দুঃসহ গরমে বেশি করে সালাদ খান। চর্বিজাতীয় খাবার এসময়ে খাবেন না। বিভিন্ন ধরনের সবজি খাবেন। যেসব নারীর শরীরে মেদ জমে আছে, এই গরমে তাদের ক্ষেত্রে মেদ কমানোর উপযুক্ত সময়। খাবারের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসুন এ সময়ে। কম খান।
বেশি খেলে পরিশ্রম হয় বেশি। তা ছাড়া বেশি খেলে জমতে থাকে মেদের স্তূপ। কিন্তু সালাদ বেশি খেলে ক্ষতি নেই। বরং ভালো। গরম মোকাবেলার পাশাপাশি আপনার শরীরের মেদও কমিয়ে দিতে পারে সালাদ।
বেশি করে পানি খান
গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে পানির বিকল্প নেই। হাতের কাছে সব সময় পানির পট রাখবেন। প্রচুর পানি খাবেন এ সময়। তৃষ্ণা না পেলেও খাবেন। ঠাণ্ডা থাকবে শরীর। প্রয়োজনে ফ্রিজে রাখা পানি খান। এক চুমুক ঠাণ্ডা পানি আপনার শরীরে বইয়ে দেবে চমত্কার শীতল অনুভূতি। মাঝে মাঝে হাত দিয়ে মুখমণ্ডলে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দেবেন। ভালো লাগবে।
সুতির কাপড় পড়ুন
গরমে সিনথেটিক কাপড় পরবেন না। বাসায় সুতির ম্যাক্সি পরে থাকুন। কখনো টাইট পোশাক পরবেন না। সাদা পোশাক পরুন। অন্তর্বাসগুলোও যেন সুতির হয়। সিনথেটিক এবং টাইট পোশাকে শরীরে জমে উঠবে ঘাম। শরীরের ভাঁজে ভাঁজে ঘাম জমা হয়ে সৃষ্টি হবে চুলকানিসহ বিভিন্ন চর্মরোগ। সেই সাথে গরমে অসহ্যতা তো আছেই। সে ভয় নেই সুতির সাদা কাপড়ে। সুতির দুধা পোশাক আপনাকে ঠাণ্ডা রাখবে।
লেবুর শরবত খান
গরমে লেবুর শরবত হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য এক চমৎকার পানীয়। শরবতে একটু লবণ ও চিনি মিশিয়ে নিন। চিনি শক্তি জোগাবে, আর লবণ পূরণ করবে আপনার শরীর থেকে ঘামের সাথে বেরিয়ে যাওয়া লবণের অভাবটুকু। লেবুতে থাকে ভিটামিন সি। এই গরমে ভিটামিন সি ফিরিয়ে দেবে আপনার লাবণ্যতা।
ঘরটাকে ঠাণ্ডা রাখুন
লোডশেডিংয়ের ঝামেলায় দুঃসহ গরমে আপনার ঘর ঠাণ্ডা রাখার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। দরজা-জানালায় সাদা রঙের পর্দা টানান, যাতে বাইরে থেকে ঢুকতে না পারে সূর্যের তীব্র আলো। মেঝেতে ঠাণ্ডা পানি ঢালুন। পর্দাগুলোও ভিজিয়ে দিন পানি দিয়ে। আপনার ঘরের মাথার ছাদেও পানি ঢালার ব্যবস্থা করুন। ছাদের ওপরে ছাদজুড়ে শামিয়ানা টানিয়ে নিন।
চুল ড্রাই করবেন না
গরমে চুল ড্রাই করবেন না। তাতে গরম বেশি লাগবে, এমনকি তেলও মাখবেন না। শ্যাম্পু করুন নিয়মিত, ঝরঝরে লাগবে নিজেকে। প্রতিদিন গোসল করুন কয়েকবার। চুলগুলো ছড়িয়ে রাখুন। তাতে বাতাস লাগবে মাথায়। মাঝে মাঝে কলার মোচার মতো করে খোঁপা করুন, যাতে ঘাড় ও কাঁধে বাতাস লাগতে পারে। তবে খোঁপা করে বেশিক্ষণ রাখবেন না। বেশিক্ষণ খোঁপা করে রাখলে টাইট চুলের ফাঁক দিয়ে মাথার ত্বকে বাতাস পৌঁছতে পারবে না।
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
সহকারী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমাটোলজি বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।
চেম্বার: পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিঃ, ২ ইংলিশ রোড, ঢাকা
সুস্থ থাকার জন্য ডিম খান। কিন্তু হাফ বয়েল নয়।
ডিম খেতে অনেকেই ভালবাসেন। কিন্তু যে জিনিস খেতে ভাল লাগে, তাতেই বিপত্তি। ডিমের বেলায়ও তাই। কোলেস্টেরলের ভয়ে রোজকার ডিম খাওয়া থেকে অনেকেই বিরত থাকেন। আর গরমের দিনে ডিম খাওয়া মানেই পেট গরম হওয়া। সুতরাং ইচ্ছে থাকলেও ডিম খাওয়া যায় না। খেলেও বড়জোর ডিমের সাদা অংশ।
ক্লিনিক্যাল ডায়েটেশিয়ান অর্পিতা দেব ঘোষ জানাচ্ছেন, এ সব ভয় একেবারেই অমূলক। সব থেকে ভাল প্রোটিনের উতস ডিম। এতে ৯ টি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড সঠিক মাত্রায় থাকে।
ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন নামের প্রোটিনটি ভাল মতো থাকে। নিয়মিত মাছ-মাংস না খেলে অবশ্যই ডিম খাওয়া দরকার।
কম তেলে ডিম রান্না করা যায়। যেটা মাছ-মাংসের ক্ষেত্রে হয় না। দরকারে সেদ্ধও খাওয়া যায়।
হজম হয় না বলে ডিমের যে বদনাম আছে, তা মোটেই ঠিক নয়। ডিম ঝটপট হজম হয়ে যায়।
ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল (১৫০-২০০ মিগ্রা) যথেষ্ট থাকলেও ভয় নেই। কারণ সেই কোলেস্টেরল রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বাড়ায় না। উল্টে ডিমের লেসিথিন নামের যৌগটি কোলেস্টেরলকে কোষে নিয়ে গিয়ে শক্তি তৈরি করে। সুতরাং শক্তির উতসও বটে ডিম।
সুস্থ মুরগির ডিম চেনার উপাই
তবে কি ডিমের সব ভাল?
ডিমের একটাই দোষ। ডিমের খোলায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে। ডিম বেরোয় পাখির মল বেরোনোর রাস্তা দিয়ে। সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়া ছিদ্র মাধ্যমে ঢুকে পড়ে ডিমে। তাই ডিম কখনওই কাঁচা বা অর্ধসেদ্ধ খাওয়া উচিত নয়। খেলে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন হয়ে পেটের গণ্ডগোল হয়। বিশেষ করে বর্ষাকাল বা গরম কালে।
মুরগির ডিম বা হাঁসের ডিম দুটোই খাওয়া যায়। কিন্তু হাঁসের ডিম খাওয়ার সময় সেটি হার্ড বয়েল (অন্তত আধ ঘণ্টা সেদ্ধ) করে খাওয়া দরকার।
সুস্থ মুরগির ডিম চেনার উপাই
ডিম খাওয়া যে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তা আমরা সকলেই জানি। প্রতিদিন ডিম খাইও। কিন্তু জানেন কি ডিম খাওয়ার সময়ও বেছে নিতে হয় কোনটা ভাল মানের আর কোনটা নয়? জেনে নিন কী ভাবে বুঝবেন কোন ডিম স্বাস্থ্যের জন্য বেশি পুষ্টিকর।
সুস্থ থাকার জন্য ডিম খান। কিন্তু হাফ বয়েল নয়।
১। এই পরীক্ষার জন্য গবেষকরা তিন কার্টন ডিম কেনেন। প্রথম কার্টন কেনা হয় মুরগি খামারের মালিকের কাছ থেকে, দ্বিতীয় কার্টন কেনা হয় দোকান থেকে। দানাশস্য খাওয়া চিকেনের ডিম ছিল এগুলো। তৃতীয় কার্টন কেনা হয় বড় সুপারমার্কেট চেন থেকে।
২। তিনটি কার্টন থেকে একটা করে ডিম নিয়ে ফ্রাইং প্যানে ফাটানো হয়। আর তখনই চোখে পড়ে পার্থক্যটা। ঠিক যে ভাবে সঙ্গের ছবিতে দেখছেন। খামার মালিকের থেকে কেনা কার্টনের ডিমের কুসুমের রং ছিল গাঢ় কমলা। কিন্তু বাকি দুটো ডিমের কুসুমের রং দেখা যায় হাল্কা হলুদ। গবেষকরা জানাচ্ছেন, কমলা কুসুমের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি। এতে যেমন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিনের পরিমাণ বেশি থাকে, তেমনই কম থাকে কোলেস্টেরলের মাত্রা।
৩। বিশেষজ্ঞদের মতে মুরগির ডায়েটের উপরই নির্ভর করে ডিমের কুসুমের রং। যেই মুরগিরা বিভিন্ন রকম দানাশস্য, পোকামাকড় খায় তাদের ডিমের রং যেমন গাঢ় হলুদ হয়, তেমনই আঁশটে গন্ধও বেশি হয়। আর মুরগির স্বাস্থ্য যদি ভাল হয় তা হলে ডিমও হবে বেশি পুষ্টিকর। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও বেশি উপকারী।
খুবই দরকারি ৭টি খাবার পুরুষের জন্য
পুরুষের ক্ষেত্রে অনেকেই খাবার বিষয়ে কম সচেতন থাকেন। কিন্তু সুস্বাস্থ্যের জন্য তাদেরও দরকার সঠিক খাবার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর খাবারের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্য তেমন কিছু উপকারী খাবারের কথা জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
টমেটো
টমেটোর বহুবিধ গুণের কারণে টমেটোকে ‘সুপার ফুড’ বলা হয়। এতে লাইকোপেন আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, লাইকোপেন বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার, হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।
ঝিনুক
ঝিনুকে উচ্চ মাত্রার জিঙ্ক আছে যা যৌন সুস্বাস্থ্যের জন্য দরকারি। টেস্টোস্টেরন মাত্রা ঠিক রাখতে ও স্বাস্থ্যকর শুক্রাণুর জন্য জিঙ্ক দরকারি। চুলের জন্যও জিঙ্ক উপকারী।
বাদামি চালের ভাত
বাদামি চালের ভাত কিংবা যবে ভিটামিন বি আছে। বিষণ্নতা দূর করা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য যা অতি দরকারি। চুল পড়া ও শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের জন্য বাদামি চালের ভাত উপকারী।
রসুন
হৃদযন্ত্র রক্ষার জন্য রসুনের সুনাম রয়েছে। এটি কোলস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্যও কাজ করে।
ডিম
যাঁদের চুল পড়ে যায় তাঁদের ডিম খাবারের তালিকায় রাখা উচিত। এতে প্রোটিন আছে যা চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। ডিমের কুসুম লৌহের ভালো একটি উতস।
ফুলকপি
বাঁধাকপির মতো ফুলকপিতেও ক্যানসার প্রতিরোধী রাসায়নিক ‘সালফোরাফেন’ আছে। বলা হয়ে থাকে পুরুষের মূত্রাশয়ের ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসার ও কোলেকটরাল ক্যানসার হওয়া রোধ করতে সহায়তা করে থাকে।
ডালিমের রস
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন সমৃদ্ধ ডালিমের রস কোলস্টেরলের মাত্রা কমায়, উচ্চ রক্তচাপ রোধ করে। কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন পরিমিত মাত্রায় ডালিমের রস পানে পুরুষের প্রোস্টেট ক্যানসারের বৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে।
Pregnancy is the beginning of an incredible journey, a delicate and enjoyable phase of life for every woman.
Carrying a baby in your womb requires strength in your body. Eating foods that are high in nutrients is important for you and the development of your baby. Sometimes, you may feel tiredness and fatigue which can result in mood swings or stress. Make sure you include foods rich in minerals, vitamins and nutrients in your diet as this will keep you and your baby healthy and strong. Some Health Benefits Of Raisins During Pregnancy.
What Should Be The Nutrition During Pregnancy?
Getting your diet right and eating some extra calories during your pregnancy is worthwhile as long as it is nutritious. Your diet doesn’t have to be special but it must include variety of foods. Some of the best foods for healthy nutrition during pregnancy are given below:
1. Fruits And Vegetables:
Eating fresh fruits and vegetables is a healthy choice.
These will provide you and your baby all kinds of vitamins and minerals.
Fruits are rich in fiber which means your digestion will be perfect.
You can beat fatigue by eating bananas and it is easy on your stomach as well.
You can also enjoy consuming.
Raw vegetables.
Different types of fruits and vegetable juices (fresh juice only not the ones with preservatives).
You can boil, cook or eat half cooked vegetables as well. Ensure the vegetables and fruits are washed properly before.
2. Dairy Foods:
Pasteurized dairy products are completely safe to be consumed during pregnancy.
Yogurt is rich in vitamin B and proteins which is essential for both you and your baby. It also enhances the brain power of your baby.
Dairy products have iodine which is essential for the development of your baby.
You can also enjoy eating cooked soft cheese during pregnancy but milk and yogurt (only pasteurized) are more nutritious.
Cooked soft blue cheese like Gorgonzola is fine to be consumed during pregnancy but unpasteurized soft cheese should be avoided. Other types of cheese must be avoided as it contains listeria bacteria.
3. Fish:
If you are craving for fish during pregnancy, then there is good news.
You can eat most types of fish during pregnancy like, marlin, swordfish and shark.
Eating cooked shellfish during pregnancy like lobster, mussels, prawns, crabs and clams are also fine.
Raw shellfish should be avoided as it contains harmful bacteria and viruses that can be harmful for your baby’s development.
Smoked fish or smoked salmon can be consumed.
Eating fish is great for the development of the baby but some types of fish should be avoided completely.
Quantities.
Tuna: Eating 140 grams of cooked tuna steaks (not more than two) or 170 grams of raw tuna is fine to eat. Do not eat more than 4 medium sized cans of tuna a week as it has more amount of mercury.
Oily Fish: Don’t have more than two portions of oily fish in a week. Either have two steaks of tuna or oily fish in a week. Do not have both.
4. Peanuts:
Enjoy eating peanuts and peanut butter during pregnancy until and unless you are allergic.
Opt for healthy peanut butter sandwiches.
You can also create a roasted peanut snack with lemon juice and black pepper.
Make a peanut salad by tossing in lots of fresh cut vegetables and greens.
5. Cereals And Whole Grains:
Cereals and whole grains are a good source of protein which is very nutritious during pregnancy.
You can enjoy eating about 40 grams of nuts and 2 to 3 cups of legumes each day.
Cereals are high in fol-ate and Vitamin B. Add them to your breakfast for a healthy and nutritious diet.
Add fresh fruits and dry fruits in your cereal to make them healthier and more filling.
6. Sweet Potatoes:
Sweet potatoes are a great source of fol-ate, fiber and Vitamin C, which is healthy for you and your baby.
You can enjoy eating them as a snack sometimes, but avoid eating too much of it.
Make a sweet potato evening snack mixed with lemon juice and rock salt. This will balance the sweetness of the potato.
You can also roast it and have a smoky sweet potato snack.
7. Eggs:
Eggs are great during pregnancy. You can consume one to two eggs twice weekly. However, if your cholesterol is a concern then you can enjoy eating boiled egg whites to fulfill your protein needs.
Few things to consider while eating eggs.
Eggs should not be raw or partially cooked.
If you are eating the yolk, it should be well cooked to avoid Salmonella food poisoning as it can cause severe vomiting and diarrhea.
Avoid mayonnaise which is made of raw eggs.
8. Greek Yogurt:
Greek yogurt has more protein than regular yogurt which is nutritious for expectant mothers.
It is also considered the best nutritious food during pregnancy, that are rich in calcium.
The aim is to provide everything your baby requires and eating Greek yogurt is definitely a wise choice which will keep both you and your baby’s bones healthy.
9. Chicken And Meat:
The daily iron needed during pregnancy can be fulfilled by consuming lean meats.
Iron is easily stored by the body and keeps you active.
You can eat fat free red meat. If the meat has cuts then it is 90 to 98 percent fat free.
Cook all the meat properly as raw and uncooked meat can cause protoplasmic.
You can also eat chicken breasts.
10. Dried Beans And Lentils:
10 extra gram of protein is vital for a pregnant lady. Beans and lentils are excellent protein choices when it comes to pregnancy nutrition.
They are high in fiber and fight constipation as well.
You can enjoy eating black beans, pinto beans and chickpeas. Add them to salads for a healthy diet.
Avoid eating one type of food in high amounts, except fruits and vegetables. As these are the best sources of fiber and should be consumed daily for you and your unborn baby’s good health.
Varying your diet lessens the risk of being exposed to something harmful. A healthy mix of nutrients during pregnancy will keep you and your baby fit and you will deliver a healthy baby.
Have more nutrition in pregnancy guidelines? Do share them with us.
Some Health Benefits Of Raisins During Pregnancy
The moment you learn you are pregnant, your life changes. Some of these changes are pleasant, while others, not so much. One of the biggest changes, apart from your growing body, is the anxiety about the food you eat.
Gone are the days of eating without a care. Suddenly, you have to watch each morsel you consume, each drop you drink. That can take the fun out eating. But you need to be careful while pregnant. Now it’s more than just about you and your health. It is also about your baby.
So, what foods are okay to eat during pregnancy? There are a number of healthy food options for you to try. Raisin is one of them.
Benefits Of Eating Raisins During Pregnancy:
Raisins are versatile. You can add them to a number of delicacies, or you can munch on them as they are. These tiny dried fruits have a lot to offer – both to you and to your baby. Here are the major benefits of raisins during pregnancy.
1. Prevents Anemia:
A pregnant woman often ends up with anemia due to iron deficiency (1). You need additional sources of iron to provide for your growing baby. Yes, you can use supplements, but isn’t it better to get all your nutrients through food? Raisins contain a lot of iron as well as Vitamin B complex. If you consume raisins during your pregnancy, you can prevent anemia and also treat fatigue and other related symptoms.
2. Eases Constipation:
Feeling ‘stuck’ because of constipation? You are not alone! Many women suffer from constipation and other digestive issues during pregnancy (2). You can blame your hormones for it! But the tiny raisins can provide the solution to this often-irritating problem. Raisins contain fiber, which help to make bowel movements easier and smoother.
3. Increases Appetite:
A lack of appetite often plague pregnant women, especially in the first and third trimester. In the first trimester, it is morning sickness that plays havoc with your desire to eat. While in the third trimester, it is your growing uterus. But thanks to the fiber, magnesium, and potassium in raisins, you can hope to get some of your appetite back!
4. Keeps Teeth Healthy:
Swollen gum or gingivitis is a common problem during pregnancy (3). Raisins in your diet can ensure healthy gums and teeth, thanks to their melancholic acid content (4).
5. Prevents Cancer And Cardiovascular Diseases:
During pregnancy, your body goes through a lot of change. All these changes lead to oxidation stress in the body, which can cause cancer and cardiovascular diseases later in life (5). Raisins contain antioxidants that can prevent these issues.
6. Provides Energy:
During pregnancy, fatigue becomes an everyday affair. Raisins, with their glucose and sugar content, can provide you with an instant boost of energy.
7. Helps Develop Baby’s Bones And Vision:
If you consume raisins during pregnancy, you help your unborn baby too! It’s vitamin A content helps to develop your baby’s eyesight. While the calcium in it helps make her bones stronger.
Raisins sound like pregnancy super food, don’t they? But wait before you start bunging on them!
Problem With Eating Too Many Raisins:
Raisins are yummy as well as healthy. It is easy to eat a handful of them without even noticing. But too much of anything can be bad!
Too many raisins can increase your blood sugar levels. This can cause gestational diabetes (GD) too. Most cases of GD resolve with childbirth, but some cases can cause complications. For one, it can lead to your baby being too big for a vaginal birth. This can necessitate a c-section. It can also cause obesity in your baby as she grows up. If you have gestational diabetes, chances of you and your baby getting type 2 diabetes also go up manifold (6).
So, enjoy raisins, but in moderation. Add them to your favorite dessert or keep them in a jar by your bedside – raisins are definitely something you should add to your pregnancy diet!
How do you like your raisins – mixed with your dessert or as snacks? Share with us in the comments section below!
অসাধারন কিছু টিপস যা সবসময় আপনাদের উপকারে আসবে
১। চুলকানি জাতীয় চর্মরোগে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ বেটে গোসলের আধা ঘন্টা পূর্বে লাগালে ভাল হবে।
২। রক্ত আমাশয়ে ডুমুর গাছের শিকড়ের রস দিনে দু'বার খান।
৩। দাঁতের গোড়ায় ব্যথা হলে আক্রান্ত স্থানে সামান্য হলুদ লাগিয়ে দিন।
৪। দাঁতের মাড়িতে ক্ষত হলে বা দাঁত থেকে রক্ত পড়লে জামের বিচি গুড়ো করে দাঁত মাজলে উপকার পাবেন।
৫। ফোঁড়া হলে তা অনেক সময় না পেকে শক্ত দলার মত হয়ে যায়। কলমি শাকের কচি ডগা ও শিকড় একসঙ্গে বেটে ফোঁড়ার ওপর প্রলেপ দিয়ে দীর্ঘক্ষণ রেখে দিন। এতে ফোঁড়া পেকে যাবে।
৬। মচকে গিয়ে ব্যথা পেলে চালতা গাছের পাতা ও মূলের ছাল সমপরিমাণ একসঙ্গে বেটে হালকা গরম করে ব্যথার জায়গায় লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
|
ডাক্তার তানিয়া সুলতানা |
ডাক্তার তানিয়া সুলতানা
৭। ঠোঁটের দু'পাশে এবং মুখের ভেতরে অনেক সময় ঘায়ের মত হয়। গাব ফলের রসের সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে কয়েকদিন মুখ ধুলে ঘা সেরে যায়।
৮। ডালসহ পুদিনা পাতা ৭/৮ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি ছেঁকে খেলে পেট ফাঁপা ভাল হয়।
৯। অনেকের গায়ে ঘামের দুর্গন্ধ হয়। বেল পাতার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে গা মুছলে তা কমে।
১০। মাথা ব্যথা হলে কালোজিরা একটা পুটলির মধ্যে বেঁধে শুকতে থাকুন; ব্যথা সেরে যাবে।
১১। কাশি হলে দুই টুকরো দারুচিনি, একটি এলাচি, ২টি তেজপাতা, ২টি লবঙ্গ ও সামান্য চিনি পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন; হালকা গরম অবস্থায় এই পানি খেলে কাশি ভাল হবে।
১২। দাঁতের ব্যথায় পেয়ারা পাতা চিবালে ব্যথা উপশম হয়।
১৩। দই খুব ভাল এন্টাসিড হিসেবে কাজ করে৷ এসিডিটির সমস্যা শুরু হওয়া মাত্র তা কয়েক চামচ খেয়ে নিন।
১৪। গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে অর্ধেকটা লেবু নিয়ে রস চুষে খেয়ে ফেলুন; কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।
১৫। ছুরি/দা/বটিতে হাত কেটে গেলে এক টুকরা সাদা কাগজ কাটা জায়গায় লাগান। রক্ত বন্ধ হবে।
১৬। শ্বাসকষ্ট কমাতে বাসক গাছের পাতা ও ছাল একসঙ্গে সেদ্ধ করে বেটে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
১৭। জিভে বা মুখে সাদা ঘা হলে পানির সঙ্গে কর্পূর গুলে দিনে ২ বার মুখ ধুয়ে নিন।
১৮। ঘুম ভাল হওয়ার জন্য ডালিমের রসের সঙ্গে ঘৃতকুমারীর শাঁস মিশিয়ে খেতে পারেন।
**********************************************
বিঃদ্রঃ আমাদের পোষ্টগুলো যদি আপনাদের ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
Some Food to Improve Blood Quality.
Do you want to improve your Blood Quality? Here is food which will improve blood quality and improve your health too.
You remain healthy when your blood remains clean and good. If it is not good then you remain disturb and always have the risk of heart diseases. If the quality of blood is good then you remain happy. You will not complain about insomnia. Your Sex life remains good and you prevent yourself from cancer.
Green Vegetables: Green food has lot of chlorophyll which makes blood and liver clean. You should intake broccoli, spinach and other green food.
Cucumber: Plenty of bad and poisonous things come out from the body with cucumber. You will get water, potassium and vitamin C. It makes blood flow faster. Cucumber is the best food for blood quality.
Asparagus: The regular intake of toxic substances removes through urine. It has such juice that works as blood purifier. It facilitates the circulation of blood and cleanses the liver.
Pomegranate: Pomegranate clears the arteries leading to the heart so that blood reaches to it. It has physio chemical which works as antioxidant. It prevents nerves from the damage.
Antioxidant Rich Diet: Antioxidant diet food properly operates the blood. It plays a major role for cell growth which makes heart healthy. You can include beetroot, blueberries, raisins, capsicum and citrus fruits in your diet.
Turmeric: Turmeric contains such elements which reduce inflammation of the arteries. This largely prevents freezing of fat in the arteries. Improve Blood Quality.
যে খাবার খেলে রক্ত পরিষ্কার করে আপনার লিভার সুস্থ রাখবে
গুড়ের সঙ্গে আদা গুড়া বা ছোলা মিশিয়ে খেলে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে যায় আরও কয়েকগুণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গুড়ে প্রচুর পরিমাণ আয়রন পাওয়া যায় যা শরীরে হিমোগ্লবিনের মাত্রা বাড়ায়। এই ঘুরে শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন ছড়িয়ে দেয়।
নারীদের মধ্যে বেশী মাত্রায় আয়রনের অভাব দেখা যায়, বিশেষ করে ঋতুস্রাবের সময়। এসময় তাদের দুর্বল ও ক্লান্ত দেখায়। এ অবস্থায় তাদের ঘাটতি পূরণ করতে আয়রনের বিকল্প নেই।
গুড়ে সুক্রোজ, আমিষ, চর্বি, ক্যালসিয়াম, ফসফেট, ক্যারোটিন, রাইবোফ্ল্যাবিন ও নিয়াসিন থাকে। গুড় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, কোষ্ঠকাঠিন্য ও লিভার ভালো রাখে।
বিশেষজ্ঞরা আয়রনের ঘাটতি পূরণে দুইটি মিশ্রণ তৈরির প্রস্তুত প্রণালী দিয়েছেন, নিম্নে তা আলোচনা করা হল:
গুড় ও ছোলা : রাতে এক মুষ্টি ছোলা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন পানি ঝড়িয়ে ছোলায় দুই চা চামুচ গুড় মিশিয়ে নিন। ভোরে খালি পেটে এই মিশ্রণটি খেয়ে নিন। এতে আপনার ক্লান্তি ও অনিদ্রা দূর হবে ও আয়রনে ঘাটতি পূরণ হবে।
গুড় ও শুকনা আদা গুঁড়া : দুই চা চামুচ গুড়, এক চা চামুচ আদা গুঁড়া ও এক চিমটি মরিচ গুঁড়া এক সঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। দিনে তিনবার এক চা-চামুচ করে এ মিশ্রণটি খান উপকার পাবেন।
এছাড়া গুড়ে আর কী কী রোগ সারানোর ক্ষমতা রয়েছে, তা নিম্নে আলোচনা করা হল :
কোষ্ঠকাঠিন্য : গুড় হজমশক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে এর ভিতরের শর্করা কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে। এ জন্য রোজ এক চামচ গুড়ই যথেষ্ট।
লিভার ভাল রাখে : গুড় লিভার থেকে যাবতীয় টক্সিন দূর করে। শরীরের টক্সিন বের করতে রোজ ছোট্ট এক টুকরো গুড় আপনাকে সাহায্য করবে।
সর্দি-কাশিতে : গুড় সর্দি-কাশিও তাড়ায়। সর্দি হলে প্রতিদিন সকালে এক চামুচ গুড় খেয়ে দেখুন।
রক্ত পরিষ্কার রাখে : গুড় লিভার থেকে টক্সিন বের করে দেয়, সেই জন্য রক্তও পরিষ্কার করে।
স্টমাক ঠাণ্ডা রাখে : গুড় স্টমাক ঠাণ্ডা রাখে।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রক : গুড়ে সোডিয়াম আর পটাসিয়াম থাকে, যা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
শ্বাসকষ্ট কমায় : গুড় আপনার শ্বাসকষ্টে স্বস্তি দেবে। অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিসের মতো অসুখে রোজ গুড় খেলে উপকার পাওয়া যায়।
গাঁটের ব্যথা কমায় : গাঁটের ব্যথায় গুড় স্বস্তি এনে দেয়। এক গ্লাস দুধের সঙ্গে ১ টেবিল চামুচ গুড় মিশিয়ে খান উপকার পাবেন।মেদ ঝরায় : গুড় শরীর থেকে টক্সিন বের করার পাশাপাশি মেদ গলাতেও সাহায্য করে।
খালি পেটে যে ১০ খাবার খাবেন না
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার শরীরের জন্য যেমন জরুরি, তেমনি খাবার খাওয়ার সময়ও সঠিক হওয়া জরুরি। সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কিছু খাবার রয়েছে যা খালি পেটে খাওয়া একদম ঠিক নয়। এই খাবারগুলো এসিড তৈরি করে এবং অন্ত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। Health Fitness Tips Bangla ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এ খাবারগুলোর কথা।
১. চা
চা-ও কফির মতো, খালি পেটে খাওয়া ঠিক নয়। চায়ের মধ্যে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় এসিড যা পাকস্থলির আবরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
২. টমেটো
টমোটো খালি পেটে খাওয়া হলে এর মধ্যে বিদ্যমান এসিড গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এসিডের সাথে মিশে পাকস্থলির মধ্যে বিক্রিয়া করে এক ধরনের অদ্রবণীয় জেল তৈরি করে; যা পাকস্থলিতে পাথর হওয়ার কারণ হতে পারে।
৩. ওষুধ
কিছু কিছু গ্যাসট্রিকের ওষুধ খাওয়ার আগে খেতে বলা হয়। তবে অধিকাংশ ওষুধ ভরা পেটে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। যখন খালি পেটে ওষুধ খাওয়া হয় এটা পাকস্থলিতে অস্বস্থিকর অবস্থার তৈরি করে।
৪. মদ্যপান
মদ্যপান শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আর খালি পেটে মদ্যপান আরো ক্ষতিকর। মদের মধ্যে যেসব উপাদান রয়েছে সেগুলো অন্ত্রের জ্বালাভাব তৈরি করে।
৫. ঝাল জাতীয় খাবার
আমরা অনেকেই ঝাল জাতীয় খাবার খেতে ভালোবাসি, তবে খালি পেটে ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এর ফলে এসিডিক বিক্রিয়া হয়ে পেট জ্বালাভাব তৈরি হয়।
৬. কফি
খালি পেটে কফি খাওয়া খুবই ক্ষতিকর। কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন পাকস্থলির জন্য ভালো নয়। তাই খেতে হলে আগে অন্তত একগ্লাস পানি খেয়ে নিন।
৭. সোডা
সোডার
মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ কাবোর্নেটেট এসিড। খালি পেটে সোডা খাওয়া হলে এই
এসিড স্বাস্থ্যের সমস্যা তৈরি করে এবং বমিবমি ভাব তৈরি করে।
৮. দই
দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান স্বাস্থ্যকর। তবে যদি এটা খালি পেটে খাওয়া হয় তবে স্বাস্ব্যকর নয়। দইয়ে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলির আবরণের রসের সাথে মিশে পেটকে খারাপ করতে পারে।
৯. কলা
খালি পেটে কলা খাওয়া হঠাৎ করে শরীরে ম্যাগনেসিয়াম বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে রক্তে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের ভারস্যাম্য নষ্ট করে। তাই কলা খালি পেটে না খাওয়ার পরামর্শই দেন বিশেষজ্ঞরা।
১০. মিষ্টি আলু
আপনি কি জানেন মিষ্টি আলুর মধ্যে রয়েছে ট্যানিন এবং পেকটিন? এটা বেশি পরিমাণে এসিড নিঃসরণ করে পাকস্থলির দেয়ালকে সংকুচিত করে। এর ফলে বুক জ্বালাপোড়া হয়।
আপনার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য আমাদের সাথে থাকুন এবং মন্তব্য (Comment) করুন।
Oh yes, don’t forget to share to your friends on Facebook & Google Plus.