Why eat grapes?

Why eat grapes? (আঙুর কেন খাবেন?)



আঙুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কেন? ছোট এ রসালো ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিন—যা স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য দরকারি। সুস্বাদু এ ফলের আছে নানা খাদ্য ও ভেষজ গুণ।
আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬ এবং খনিজ উপাদান ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
আঙুরের বীজ ও খোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা বার্ধক্য রোধে কাজ করে। শুধু তাই নয়, হৃৎপিণ্ড এবং রক্তনালিগুলোকে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে। আঙুরের সেলুলাস ও চিনি কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে সহায়ক। যাঁরা রক্ত সঞ্চালনের ভারসাম্যহীনতায় ভোগেন, তাঁদের জন্য আঙুরের জুস খুবই উপকারী। আঙুরের ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস নিয়মিত রক্ত সঞ্চালনের সহায়ক ও ইনসুলিন বৃদ্ধি করে। আঙুরের জুসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লামিটরির মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রদাহ দূর করে। এই প্রদাহ ক্যানসার রোগ সৃষ্টির প্রধান কারণ হতে পারে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়রিয়া, ত্বক ও মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করতেও আঙুর সহায়তা করে।




কোলস্টেরলের মাত্রা কমায়ঃ রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা কমায় আঙুর। এতে টরোস্টেলবেন নামে এক ধরনের যৌগ থাকে যা কোলস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
 

হাড় শক্ত করেঃ আঙুরে প্রচুর পরিমাণে তামা, লোহা ও ম্যাংগানিজের মতো খনিজ পদার্থ থাকে যা হাড়ের গঠন ও হাড় শক্ত করতে কাজ করে।
 

অ্যাজমা প্রতিরোধঃ আঙুরের ঔ​ষধি গুণের কারণে এটি অ্যাজমার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। ফুসফুসে আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়ায় ছোট এই ফল।
 

বদহজম দূর করেঃ নিয়মিত আঙুর খেলে বদহজম দূর হয়। অগ্নিমান্দ্য দূর করতেও আঙুর কার্যকর।
 

ভুলে যাওয়াঃ অনেকে ছোট ছোট বিষয়গুলো দ্রুত ভুলে যান। আবার কোনো ঘটনা বেমালুম স্মৃতি থেকে মুছে যায়। এটা কিন্তু একধরনের রোগ, হেলাফেলার কিছু নয়। এই রোগ এড়াতে খেতে পারেন আঙুর।
 

মাথাব্যথাঃ হঠাৎ করে মাথাব্যথা শুরু হয়ে গেল। এ সময় আঙুর খেলে আরাম বোধ হবে।
 

চোখের স্বাস্থ্যঃ চোখ ভালো রাখতে কার্যকর এই ফল। বয়সজনিত কারণে যাঁরা চোখের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য ভালো দাওয়াই এই ফল।

স্তন ক্যানসারঃ স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে আছেন এমন রোগীরা খেতে পারেন আঙুর। গবেষণায় দেখা গেছে, আঙুরের উপাদানগুলো ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষের বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম।


কিডনির জন্যঃ আঙুরের উপাদানগুলো ক্ষতিকারক ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা সহনশীল অবস্থায় রাখে।
সেই সঙ্গে কিডনির রোগব্যাধির বিরুদ্ধেও লড়াই করে।


ত্বকের সুরক্ষায়ঃ আঙুরে থাকা ফাইটো কে​মিক্যাল ও ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে। আর আছে প্রচুর ভিটামিন সি। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।







 

বয়সের ছাপে বাধাঃ শরীরের ফ্রি রেডিকেলস ত্বকে বলিরেখা ফেলে দেয়। আঙুরে থাকা ভিটামিন সি আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এই ফ্রি রেডিকেলের বিরুদ্ধে লড়ে, শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।



চুলের যত্নেঃ দিঘল চুল একটু অযত্নেই খুশকিতে ভরে যায়। চুলের আগা ফেটে গিয়ে রুক্ষ হয়ে পড়ে। ধূসর রঙের হয়ে যায় কখনো। সব শেষে চুল ঝরতে থাকে। এই সমস্যা এড়াতে খেতে পারেন আঙুর। শুধু চুল ভালোই থাকবে না, মাথায় নতুন চুলও গজাবে।

আরও পড়ুনঃ কম খরচে মেদ কমানোর খাবার

নোটঃ তাই সবারই দিনে একবার হলেও আঙুর খাওয়া উচিত।

Low-cost meals to lose fat

কম খরচে মেদ কমানোর খাবার


শরীরের মেদ ঝরাতে চান? হাতের নাগালেই এমন কয়েকটি খাবার আছে, যা আপনার মেদ ঝরিয়ে ঝরঝরে হতে সাহায্য করতে পারে। জেনে নিন এসব খাবার কী:



ফুলকপি: ফুলকপি খেলে অম্লতার সমস্যা হয় বলে অনেকে এই সবজি এড়িয়ে যান। কিন্তু যাঁদের ফুলকপি সয়, তাঁরা ওজন কমাতে এই সবজি নিয়মিত খেতে পারেন। এক কাপ ফুলকপিতে দুই গ্রাম আঁশ ও ২৭ ক্যালরি থাকে। এতে থাকে ভিটামিন সি, যা আপনার বিপাকীয় প্রক্রিয়া উন্নত করে।


ফুলকপির ১০ গুণ




শীতের মৌসুমে ফুলকপি খাবেন না, তা কি হয়? ফুলকপির যে মেলা গুণ! ফুলকপি শুধু স্বাদের জন্যই নয়, এতে থাকা সালফার সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য উপকারী। যকৃৎ থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত উপাদান দূর করে এটি সুস্থ রাখতে পারে ফুলকপি। ফুলকপির বিশেষ কিছু গুণ আছে, যা সবার জেনে রাখা ভালো:


১. কোলস্টেরল কমায়: এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।


২. ওজন কমাতে: গবেষণায় দেখা গেছে, ফুলকপি মস্তিষ্ক ভালো রাখে, ওজন কমায় এবং সর্দি-কাশিসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে।


৩. হাড় ও দাঁত শক্ত করে: ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত ও মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড। এর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে।


৪. ক্যানসার প্রতিরোধ করে: মারাত্মক ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে ফুলকপি। এতে আছে সালফোরাপেন, যা ক্যানসার কোষকে মেরে টিউমার বাড়তে দেয় না। স্তন ক্যানসার, কোলন ও মূত্রথলির ক্যানসারের জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতাও আছে ফুলকপির।


৫. হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য উপকারী: ফুলকপি হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য ভালো। এতে যে সালফোরাপেন আছে, তা হৃদ্‌রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে।


৬. রোগ প্রতিরোধ করে: ফুলকপিতে আছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’, যা এ সময়ের সর্দি, ঠান্ডা, কাশি জ্বর ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গা-ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ফুলকপির আরও সব প্রয়োজনীয় উপাদান রোগ প্রতিরোধেও অংশ নেয়।


৭. শক্তি জোগায়: এই সবজিতে আছে প্রচুর আয়রন। রক্ত তৈরিতে আয়রন রাখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গর্ভবতী মা ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা মানুষের জন্য ফুলকপি অত্যন্ত জরুরি।


৮. চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী: কম ক্যালরিযুক্ত ও উচ্চমাত্রার আঁশসমৃদ্ধ ফুলকপি চুল ভালো রাখে। ত্বকের সংক্রমণও প্রতিরোধ করে।


৯. পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখে: ফুলকপি পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।


১০. দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: চোখের যত্নে ফুলকপির কোনো তুলনা হয় না। ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। চোখ সুস্থ রাখতে বেশি করে ফুলকপি খাওয়া উচিত।

তথ্যসূত্র: জিনিউজ।


আরও পড়ুনঃ আঙুর কেন খাবেন?


দারুচিনি:




পলিফেনলসসমৃদ্ধ এই মসলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। সুইডেনের গবেষকেদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারে দারুচিনি যুক্ত করলে তৃপ্তি বাড়ে। সঠিক পরিমাণে মসলা যুক্ত করলে ক্ষুধা ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো করা যায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এই মসলার উপকার পেতে তেলযুক্ত খাবার এড়াতে হবে।


মটরশুঁটি :




সবুজ মটরশুঁটিতে ডায়েটারি ফাইবার, প্রোটিন ও ভিটামিন আছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ রান্না করা মটরশুঁটিতে ৬৭ ক্যালরি থাকে। এটি নাশতা হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারে বা উচ্চ শর্করার সঙ্গে মিশিয়ে এটি খেলে মূল ক্যালরি কমে।

সবুজ মটরশুঁটির চমক




বসন্তের শুরুতে বা শীতের শেষে বাজারে আসে সবুজ মটরশুঁটি। সবজি, মাছ এমনকি খিচুড়ি বা পোলাওয়ের সঙ্গে খানিকটা মটরশুঁটি কেবল খাবারকে সুস্বাদু আর দৃষ্টিনন্দনই করে না, এর আছে নানা উপকারিতাও।
প্রাচীন মিশরীয়রা পিরামিডে মমির সঙ্গে প্রয়োজনীয় নানা উপাদানের সঙ্গে খানিকটা মটরশুঁটিও দিত—তা এর চমকপ্রদ গুণের কারণেই। সবজি হলেও মটরশুঁটি আমিষের জোগান দিতে সক্ষম। যাঁরা মাছ বা মাংস থেকে আমিষ বেশি পেতে চান না, তাঁরা এটি খেতে পারেন। এটি একটি উৎকৃষ্ট উদ্ভিজ্জ আমিষ। এ ছাড়া এতে আছে নানা ধরনের ভিটামিনের সমাহার। যেমন: ভিটামিন এ, বি ওয়ান, বি সিক্স এবং ভিটামিন সি। সবচেয়ে বড় কথা, মটরশুঁটিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন কে। এটি রক্ত তরল রাখতে সাহায্য করে। হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। মটরশুঁটিতে আঁশের পরিমাণ অনেক, তাই হজমে সহায়ক। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আবার এতে কোলেস্টেরল বা চর্বি নেই বললেই চলে। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মটরশুঁটিতে যে চর্বি আছে, তা ভালো চর্বি বা ওমেগা থ্রি ফ্যাট। আলফা লিনোলিনিক অ্যাসিড নামের এ চর্বি হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভালো। এক কাপ মটরশুঁিটতে প্রায় ১৩০ গ্রাম আলফা লিনোলিনিক অ্যাসিড পাওয়া যাবে। তাই এ সময়ে নিয়মিত খাবারে, সালাদে ও নাশতায় রাখুন এই বিশেষ সবজি। সূত্র: নিউট্রিশন ফ্যাক্ট



পেয়ারা:




প্রতি কাপ পেয়ারায় ১১২ ক্যালরি থাকে, যা নাশতায় খাওয়া যেতে পারে। এক কাপ পেয়ারা খেলে প্রতিদিন যে পরিমাণ আঁশ দরকার, এর ২০ শতাংশ পূরণ হয়। আঁশ ছাড়াও এতে প্রচুর পানি থাকে, যা পেট ভরা রাখে এবং প্রাকৃতিক উপায়ে চিনি কমায়। বাড়তি হিসেবে ভিটামিন সি তো আছেই।


পেয়ারা খেলে যে লাভ

স্বাদ, পুষ্টিগুণ আর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখলে পেয়ারা খেলে প্রচুর লাভ। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেয়ারা রাখা যেতে পারে। এতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও লাইকোপেন—যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি।
পেয়ারার বিশেষ পাঁচটি গুণের মধ্যে রয়েছে, এটি ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, চোখের জন্য ভালো, পেটের জন্য উপকারী আর ক্যানসার প্রতিরোধী।


ডায়াবেটিস রোধে: নিয়মিত পেয়ারা খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। কারণ পেয়ারায় যে আঁশ আছে, তা শরীরে চিনি শোষণ কমাতে পারে।

রোগ প্রতিরোধে: পেয়ারায় যে পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ থাকে তা শরীরে গেলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
 

দৃষ্টিশক্তির জন্য: পেয়ারায় থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। রাতকানা রোগ থেকে বাঁচায়।
 

ডায়রিয়া রোধে: পেয়ারা ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে পারে। তাই নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে অনেকটা। পেয়ারার আছে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা।
 

ক্যানসার প্রতিরোধী: ক্যানসার প্রতিরোধেও পেয়ারা কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লাইকোপেন, ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে। নির্দিষ্ট করে বললে, প্রোস্টেট ক্যানসার আর স্তন ক্যানসারের জন্য পেয়ারা উপকারী।



পেয়ারার ১০টি পুষ্টিগুণ:

১. এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়, যা কমলালেবুর চেয়েও কয়েক গুণ বেশি।
২. পেয়ারায় আছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স
৩. এতে আছে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড ও নিকোট্রিন অ্যাসিড৷
৪. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেয়ারা বেশ কাজ দেয়।
৫. এটি রক্তসঞ্চালন ঠিক রাখে এবং কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা পেয়ারা খেতে পারেন৷
৬. অ্যাজমা, স্কার্ভি, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, ক্যানসার ইত্যাদি অসুখের ক্ষেত্রেও পেয়ারা বেশ উপকারী৷
৭. জটিল শর্করা ও তন্তুসমৃদ্ধ পেয়ারা রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
৮. শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ পেয়ারা পাতার জুস গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যায় উপকারী।
৯. পেয়ারা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং এই ফলের রস সর্দি-কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও আমাশয়সহ পেটের অসুখ সারাতে পারে।
১০. বয়সের সঙ্গে জড়িত নানা রোগ। যেমন: স্মৃতিভ্রংশ (আলঝেইমার), চোখে ছানি, আর্থরাইটিস বা হাঁটুব্যথা প্রতিরোধে সহায়তা করে।



লাল মরিচ:




লাল মরিচে আছে ক্যাপসিসিন, যা চর্বি কমানোর হার বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদেরা বলেন, ক্যাপসিসিন তাপ উৎপাদনের মাধ্যমে বিপাকীয় সক্রিয়তা বাড়ায়। আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে বলা হচ্ছে, প্রতিদিন ৬ মিলিগ্রাম ক্যাপসিসিন খেলে নারী-পুরুষের উভয়ের ক্ষেত্রেই পেটের চর্বি কমানোর হার বাড়ে।


বেশি দিন বাঁচতে লাল মরিচ খান

আপনি কি মসলাদার খাবার ভালোবাসেন? যদি তাই হয়, তবে আপনার জন্য সুখবরই আছে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি করে লাল মরিচ খেলে বাড়বে আয়ু।

অনেকেই বেশি দিন বাঁচতে চান। আর এ জন্য অনেকেই অনেক কিছু করেন। বেশি দিন বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন ওষুধ খেয়ে অসুখের সঙ্গে লড়াই করা হয়। শুধু ওষুধেই সুস্থ থাকা যায় না। ওষুধ খেলে রোগ সারে। কিছু খাবারের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে রোগের প্রতিষেধক। বেশি দিন বাঁচতে চাইলে প্রতিদিন লাল মরিচ খাওয়া শুরু করতে পারেন।

নতুন এক গবেষণার বরাত দিয়ে জি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, প্রতিদিন লাল মরিচ খেলে মৃত্যুর হার হ্রাস করে। হৃদরোগ ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার হারও ১৩ শতাংশ কমে যায়। যাঁরা নিয়মিত লাল মরিচ খান, তাঁদের কোলেস্টেরল কম থাকে।

মরিচের গুঁড়া ও মসলা শত বছর ধরে রোগের চিকিৎসায় উপকারী বলে মনে করা হয়। গবেষকেরা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরীক্ষার গবেষণায় দেখা গেছে, ২৩ বছর ধরে ১৬ হাজারেও বেশি মার্কিন নাগরিকের ওপর ওই গবেষণা চালানো হয়েছে। এরপরই গবেষণার ফলে বলা হয়েছে, লাল মরিচ বেশি খেলে কমে মৃত্যুঝুঁকি।

এদিকে, অপর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, মরিচ ক্যানসারবিরোধী ড্রাগ হিসেবে কাজ করতে পারে।

Haidrophobiya rabies or what? Dog bites can you do?

জলাতঙ্ক বা হাইড্রোফোবিয়া মূলত একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক রোগ। এ রোগকে হাইড্রোফোবিয়া না বলে র‌্যাবিস’ও (Rabies) বলা হয়। র‌্যাবিস শব্দটি একটি ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ পাগলামী করা। সাধারণত কুকুর, বিড়াল, বানর, চিকা, শেয়াল, বেজি ইত্যাদি প্রাণী জলাতঙ্কের বাহক। ভাইরাসজনিত র‌্যাবিস জীবাণু দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হলে যে রোগ-লক্ষণ প্রকাশ পায় তাকে জলাতঙ্ক বলা হয়। মূলত জলাতঙ্ক আক্রান্ত পশু বা রোগীর আচরণ থেকেই এই নামকরণের সূত্রপাত। এ রোগের প্রধান লক্ষণ জল দেখলেই ভয় পাওয়া, জল খাওয়া বা পান করার সময় খাদ্য নালীর উর্ধভাগের মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা ইত্যাদি।

জলাতঙ্ক একবার হলে রোগীকে বাঁচানো একটু কঠিন বা অনেক ক্ষেত্রে বাঁচানো সম্ভব হয় না। তবে বর্তমানে এ রোগের উন্নত চিকিৎসা আছে। কুকুরে কামড়ানোর সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ মত ভ্যাকসিন নেয়া শুরু করলে ভয়ের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। সাধারনত কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, বানর, ইঁদুর, বেজি ইত্যাদি প্রাণী বিশেষ করে কুকুর, র‌্যাবিস জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে এবং মানুষকে কামড়ালে এ রোগ হয়। এসব প্রাণীর মুখের লালায় র‌্যাবিস ভাইরাস জীবাণু থাকে এবং এ লালা কামড় বা কোন পুরানো ক্ষতের মাধ্যমে বা আঁচড়ের মাধ্যমে রক্তের সংস্পর্শে আসলে রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি হয়। সব কুকুরে কামড়ালেই কিন্তু জলাতঙ্ক রোগ হয় না। যদি কুকুরটির লালায় র‌্যাবিস জীবাণু না থাকে তাহলে কুকুরের কামড়ে এ রোগ হবে না। মূলত কুকুরের কামড়েই আমাদের দেশে শতকরা ৯৫ ভাগ জলাতঙ্ক রোগ হয়। জলাতঙ্ক র‌্যাবিস এর অনেকগুলো লক্ষণের একটি। বাতাসভীতিও এ রোগের আরেকটি লক্ষণ।

জলাতঙ্ক আক্রান্ত মানুষের লক্ষণ



Rabies নামক এক প্রকার ভাইরাস জলাতঙ্ক বা হাইড্রোফোবিয়া (Hydrophobia) রোগের জন্য দায়ী। কুকুর কামড়ানোর ১ থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যে জলাতঙ্কের লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে। লক্ষণ প্রকাশের পূর্বেই অর্থাৎ কুকুরে কামড়ালেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে৷ Rabies ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুর কোন মানুষকে কামড়ালে, ভাইরাসটি সেই ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করে ও কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণের প্রকাশ ঘটায়। যেমন-

এর প্রধান লক্ষণ হল জল বা কোন তরল দেখে আতঙ্কিত হওয়া, পানি খেতে চায় না, পানি দেখলে ভয় পায়।
কামড়ের জায়গায় ব্যথা ও চিনিচিন করে আবার চুলকানি হতে পারে।
পেটে ব্যথা
স্নান করতে অনীহা ভাব
শরীরের পেশীতে টান লাগা
মুখ থেকে অতিরিক্ত থুতু বের হওয়া।
শ্বাস কষ্ট হওয়া
পানি পিপাসা থাকা
মুখ থেকে লালা পড়ে
মৃদু জ্বর, ঢোক গিলতে অসুবিধা
খিঁচুনি হতে পারে।
শান্ত অবস্থা থেকে হঠাৎ রেগে যাওয়া বা অতিরিক্ত উত্তেজনা
রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে এবং প্যারালাইসিস হতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে মৃদু বায়ু প্রবাহেও রোগী ভয় পেতে পারে।
আবোল তাবোল কথা বলা।
অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত মানুষ অন্য আক্রান্ত প্রানির মতো অন্য মানুষকে কামরাতে চাইতে পারে।
কুকুর কামড়ালে কি করবেন?
লক্ষণ প্রকাশ পাবার পর এ রোগের কোনো চিকিৎসা নেই এবং রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনাই বেশি। তবে এই মারাত্মক রোগ সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধযোগ্য। কুকুর বা অন্য কোন প্রাণীর কামড়ের সাথে সাথে ক্ষতস্থান সাবান বা এনটিসেপটিক দ্বারা পরিস্কার করলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যাথাযথ ভেকসিন গ্রহন করলে সহজেই এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

প্রথমেই ক্ষতস্থানটি সাবান, পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণ, ৪০-৭০% অ্যালকোহল, পোভিডিন অথবা আয়োডিন যেকোনো একটি দিয়ে ক্ষতস্থানটিকে ভালো করে ভিজিয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে। এতে ক্ষতিকর ভাইরাস ক্ষত স্থানে লেগে থাকলে তা নষ্ট হয়ে যাবে।
তারপর দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইঞ্জেকশান রাবিপুর ০, ৩, ৭, ১৪, ৩০ ও ৯০ তম দিনে মাংসপেশিতে নিতে হবে। আক্রান্ত কুকুর কামড়ানোর পরও টিকা নিলে অনেকটা নিরাপদ অবস্থায় থাকা যায়।
আগে বলা হতো, কোনো কুকুর কামড়ালে সেই কুকুরকে ১০ দিন বেধে রেখে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং ১০ দিনের মধ্যে কুকুরটি যদি মারা না যায়, তাহলে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এখন সে ধারণা সত্য নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে অর্থাৎ বাইরে থেকে আপাত সুস্থ দেখতে কুকুরের মধ্যেও জলাতঙ্কের জীবাণু থাকতে পারে। তাই কুকুরে কামড়ালে দেরি না করে অবশ্যই টিকা নিতে হবে। সেই সঙ্গে ইমিউনোগ্লোবিওলিন ইনজেকশনও দিতে হবে।
অপরদিকে যারা এসব প্রাণী নিয়ে কাজ করেন তারা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আগেই টিকা দিয়ে রাখতে পারেন।


জলাতঙ্ক প্রতিরোধে করনীয়




পোষা কুকুর বা বিড়ালকে নিয়মিত টিকা দিতে হবে।
বেওয়ারিশ কুকুর মেরে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে।
যেসব প্রাণীর আঁচড় বা কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হয়, যেমন- কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি প্রাণী থেকে সাবধানে থাকতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের এসব প্রাণী থেকে দূরে রাখতে হবে।
পূর্ব প্রস্ততি হিসেবে কুকুরে না কামড়ালেও আগে থেকে এ টিকা দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে ০, ৭, ২১ অথবা ২৮তম দিনে তিন থেকে চারটি টিকা দিতে হবে।
কুকুর কামড়ালে সাথে সাথে ক্ষতস্থান সাবান দিয়ে ভালভাবে ধুতে হবে। এরপর সেখানে পভিডন আয়োডিন দিতে হবে।
কামড়ানোর স্থান কোন কিছু দিয়ে ঢেকে রাখা যাবে না।
জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে এমন কুকুর বা অন্য পশু কামড় বা আঁচড় দিলে সঙ্গে সঙ্গে টিকা নেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে ০, ৩, ৭, ১৪ ও ২৮তম দিনে সর্বমোট ৫টি টিকা দিতে হবে।
জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুরের লক্ষণ
কুকুর বা অন্য কোনো প্রাণী কামড়ালে দিশেহারা না হয়ে প্রাণীটিকে ধরে ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। দংশিত প্রাণীটিকে হত্যা না করে ১০ দিন বেঁধে রেখে পর্যবেক্ষণ করে যদি নিম্নলিখিত লক্ষনসমূহ প্রকাশ পায় তবে বুঝতে হবে প্রাণীটি ভাইরাসে আক্রান্ত। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। লক্ষনসমূহ নিম্নরুপঃ

আক্রান্ত প্রাণী পাগলের মতো আচরন করে এবং সব কিছু কামড়ানোর প্রবনতা দেখা যায়।
উদ্দেশ্যহীন ভাবে ছোটাছুটি করতে পারে।
খাবার কিংবা জল গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া।
মুখ থেকে অত্যধিক হারে লালা নিঃসৃত হবে।
ঘন ঘন ঘেউ ঘেউ অথবা বিড় বিড় শব্দ করা।
হাপ টেনে শ্বাস নেওয়া।
এক পর্যায়ে গলার মাংস পেশিতে পক্ষাঘাত হওয়ায় আর ঘেউ ঘেউ করতে পারে না।
আবার কিছু ক্ষেত্র আক্রান্ত প্রানীর মধ্যে উত্তেজনা ভাব প্রকাশ না পেয়ে চুপচাপ থাকতে পারে।
কুকুরটি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার কারনে নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং কয়েক দিনের মধ্যে মারা যায়। সাধারণভাবে আক্রান্ত কুকুরটি ১০ দিনের মধ্যে মারা যায়।
পোষা প্রাণীর ক্ষেত্রে জলাতঙ্ক প্রতিরোধে করনীয়
যেহেতু জলাতঙ্কে আক্রান্ত হলে বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম, তাই সতর্কতা অবলম্বন করা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করাই একমাত্র পথ। যেমন-

পোষা কুকুরটি গলায় ব্যাল্ট পরিয়ে রাখতে হবে।
রাস্তার বেওয়ারিস কুকুরগুলো মেরে ফেলতে হবে।
পোষা কুকুর-বিড়ালকে চিকিৎসকের মাধ্যমে জলাতঙ্কের টিকা দিতে হবে।
এ্যান্টি র‌্যাবিস ভ্যাকসিন “রাবিপোর”
কুকুর কামড়ালে এখন আর নাভির চারদিকে ১৪টি ইঞ্জেকশন নিতে হয় না। দেশের সকল জেলাতেই এখন বিনামূল্যে এ্যান্টি র‌্যাবিস ভ্যাকসিন রাবিপোর পাওয়া যায়। ৫টি ইঞ্জেকশনে এক ডোজ। প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জনের অধীনে একটি করে জলাতঙ্কের টিকাদান কেন্দ্র আছে, যেখান থেকে বিনামূল্যে এ টিকা সংগ্রহ করা যাবে।

সবশেষে
মোটামুটিভাবে বাংলাদেশে জীবজন্তুর কামড়ের ব্যাপকতা প্রতি এক হাজার জনে ১৩ জন। তার মধ্যে ৬ থেকে ১০ বছরের শিশু কিশোরের হারই সর্বাধিক অর্থাৎ ২৭.৬% এবং তারপরে ৪১ থেকে ৬০ বছর বয়সের মানুষের হার ১৬.৩%। অর্থাৎ ১৫ বছরের নিচে শিশু কিশোর ও বয়স্ক মানুষ এ রোগের জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, কারন- শিশুরা জীব জন্তু নিয়ে খেলা করে এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা জীব জন্তু প্রতিহত করার ক্ষমতা কম রাখে। আবার আক্রান্ত মানুষের মধ্যে শতকরা ৩৩.৩ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করে, ৬২.৫ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করে না এবং ৩.১ জন ভেকসিন সম্পর্কে জানেই না। দারিদ্রতা এবং অসচেতনতাই বেশিরভাগ মানুষ ভ্যাকসিন না নেয়ার অন্যতম প্রধান কারন। তাই, সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমেই জলাতঙ্ক প্রতিরোধ করা সম্ভব।

Some tips to lighten the skin permanently.

স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার কিছু টিপস

 আমাদের এই ব্যস্ত জীবনে আর দূষণ ভরা পরিবেশে নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখা সত্যিকার অর্থেই ভীষণ মুশকিল হয়ে পড়ছে দিন দিন। অথচ আজকাল নিজেকে লুক সবসময় সুন্দর ও আকর্ষণীয় রাখাটা যেন জীবনেরই একটা অংশ, তাই নয় কি? আপনি নারী হোন, বা পুরুষ, আপনার সুন্দর মুখের কদর কিন্তু সর্বত্রই। আর তাই নিজেকে সুন্দর করে দেখাতে কে না চায় বলুন! আমাদের অনেকেরই আক্ষেপ থাকে গায়ের রং নিয়ে।

স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার কিছু টিপস

এখন আমরা আপনাকে কিছু টিপস দিব আপনার শরীর ও ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা করার জন্য।

১) প্রথমে মসুর ডাল গুঁড়ো করে নিন মিহি করে। তার মধ্যে একটা ডিমের হলুদ অংশটা মেশান। রোদের মধ্যে কিছু সময় এই পেস্টটা শুকিয়ে নিন ভালো করে। পেস্টটি একদম মচমচে হয়ে গেলে গুঁড়ো করে পরিষ্কার শিশির মধ্যে ভরে রেখে দিন। প্রতিদিন রাতে শোবার কিছু সময় আগে ২ ফোটা লেবুর রসের সঙ্গে ১ চামচ দুধ ও এই গুঁড়ো খানিকটা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। আধ ঘন্টা বা তার কিছু সময় পর মুখটা ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর কাঁচা দুধ খানিকটা পরিষ্কার তুলোতে নিয়ে মুখে বুলিয়ে নিন। এটা আরও ২০ মিনিট মুখে রেখে ধুয়ে ফেলুন।



২)  আপনার ত্বকের রং আরও ফর্সা করতে চাইলে মুখে টক দই লাগান। সাধারণত যাদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা মধু ও দই একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। ৩০ মিনিট এর মতো রাখুন মুখে, তারপরে ধুয়ে ফেলুন। আপনাকে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এরকম লাগাতে হবে।




৩) এবার একটু ভিন্নভাবে ব্যবহার করুন। প্রথমে এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, ১/২ টেবিল চামচ বাদামের তেল, এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ লেবুর রস ভালো ভাবে মিশিয়ে মুখে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার করুন। এই প্যাকটি আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে আর রোদে পোড়া ভাব দূর করবে।




৪) আপনার তৈলাক্ত ত্বক স্থায়ীভাবে উজ্জ্বল করতে মুলতানি মাটি, থেঁতো করা পদ্মপাপড়ি ও নিমপাতা বাটা এবং চালের গুঁড়ো একসঙে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। ভালভাবে মুখে-গলায় লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ধুয়ে ফেলার পর যদি পারেন মুখে কাঁচা দুধ লাগিয়ে রাখুন আরও আধা ঘণ্টা। ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

৫) আপনি সপ্তাহে একবার পাকা কলা চটকিয়ে পুরো মুখে লাগান আর ৩/৪ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মুখে লুকিয়ে থাকা সব ময়লা নিমিষে পালিয়ে যাবে আর আপনি হয়ে উঠবেন আগের থেকে আরও অনেক বেশি আকর্ষণীয়।




৬) ঝকঝকে ও আকর্ষণীয় ত্বকের জন্য চন্দন গুঁড়োর অবদান অনস্বীকার্য। আপনি চন্দন গুঁড়োর সাথে পরিমাণ মতো দুধ মিশিয়ে প্রত্যেকদিন হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। অল্প দিনের মধ্যে আপনার মুখে হাসি ফুটবেই। কিছু দিন পর আপনাকে মুখের পরিবর্তন আপনি নিজেই বুজতে পারবেন।


স্পেশাল বিউটি টিপসঃ

উপকরণঃ দুধ তিন টেবিল চামচ, কাঁচা হলুদ বাটা এক চা চামচ, লেবুর রস এক টেবিল চামচ।

প্রনালিঃ প্রথমে দুধ, লেবুর রস ও হলুদ গুঁড়ো একসঙ্গে ভালভাবে মিশিয়ে একটি মিশ্রন বা পেস্ট তৈরি করুন। আপনার সারা মুখে এই পেস্ট ভালভাবে লাগিয়ে প্যাকটি শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকুন। ভালভাবে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে ফেলুন। তবে সতর্কতা হল, গরম জলে মুখ ধোবেন না এবং অন্তত ১২ ঘণ্টা রোদে যাবেন না। তাই আপনি এটা রাতে করবেন।

ভেতর থেকে রঙ উজ্জ্বল করুন:

মানুষের রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। আপনি প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন। আর যদি এভাবে পান করতে না পারেন বা সমস্যা হলে আপনি এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ পান করার ফলে আপনার রং হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা।

Make a best Life Style World.

Male and Female Marriage First Day Talking.

পুরুষ এবং নারীদের বিয়ের প্রথম দিন কথা.


1. বিয়ের নিয়ত শুদ্ধ করা :



নারী-পুরুষের উভয়ের উচিত বিয়ের মাধ্যমে নিজকে হারামে লিপ্ত হওয়া থেকে বাঁচানোর নিয়ত করা। তাহলে উভয়ে এর দ্বারা ছাদাকার ছাওয়াব লাভ করবে। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের সবার স্ত্রীর যোনিতেও রয়েছে ছাদাকা। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), আমাদের কেউ কি তার জৈবিক চাহিদা মেটাবে আর তার জন্য সে কি নেকী লাভ করবে? তিনি বললেন, তোমরা কি মনে করো যদি সে ওই চাহিদা হারাম উপায়ে মেটাতো তাহলে তার জন্য কোনো গুনাহ হত না? (অবশ্যই হতো) অতএব তেমনি সে যখন তা হালাল উপায়ে মেটায়, তার জন্য নেকি লেখা হয়।


2. বাসরঘরে স্ত্রীর মাথার অগ্রভাগে ডান হাত রাখে যে দোআ পড়া :




রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ যখন কোনো নারী, ভৃত্য বা বাহন থেকে উপকৃত হয় (বিয়েবা খরিদ করে) তবে সে যেন তার মাথার অগ্রভাগ ধরে, বিসমিল্লাহ পড়ে এবং বলে : (হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এর ও এর স্বভাবের কল্যাণ প্রার্থনা করছি এবং এর ও এর স্বভাবের অকল্যাণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।)
 


3. স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একসঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা :



আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, স্ত্রী যখন স্বামীর কাছে যাবে, স্বামী তখন দাঁড়িয়ে যাবে। আর স্ত্রীও দাঁড়িয়ে যাবে তার পেছনে। অতপর তারা একসঙ্গে দুইরাকা‘ত সালাত আদায় করবে এবং বলবে, হে আল্লাহ, আপনি আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দিন আর আমার ভেতরেও বরকত দিন পরিবারের জন্য। আয় আল্লাহ, আপনি তাদের থেকে আমাকে রিযক দিন আর আমার থেকে তাদেরও রিযক দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের যতদিন একত্রে রাখেন কল্যাণেই একত্র রাখুনআর আমাদের মাঝে যখন বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেবেন তখন কল্যাণের পথেই বিচ্ছেদ ঘটাবেন।
 


4. স্ত্রীর সঙ্গে সহবাসের দোআ পড়া :



স্ত্রী সহবাসকালে নিচের দু’আ পড়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ যদি স্ত্রীসঙ্গমকালে বলে, (আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ, আমাদেরকে শয়তানের কাছ থেকে দূরে রাখুন আর আমাদের যা দান করেন তা থেকে দূরে রাখুন শয়তানকে।) তবে সে মিলনে কোনো সন্তান দান করা হলে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করতে পারবে না।
 


5. নিষিদ্ধ সময় ও জায়গা থেকে বিরত থাকা :

আবূ হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কোনো ঋতুবতী মহিলার সঙ্গে কিংবা স্ত্রীর পেছন পথে সঙ্গম করে অথবা গণকের কাছে যায় এবং তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে, সে যেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি যা অবতীর্ণহয়েছে তা অস্বীকার করলো।
 


6. ঘুমানোর আগে অজু বা গোসল করা :

স্ত্রী সহবাসের পর সুন্নত হলো অযূ বা গোসল করে তবেই ঘুমানো। অবশ্য গোসল করাই উত্তম। আম্মার বিন ইয়াসার রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

তিন ব্যক্তির কাছে ফেরেশতা আসে না : (1). কাফের ব্যক্তির লাশ, (2). জাফরান ব্যবহারকারী এবং (3). অপবিত্র শরীর বিশিষ্ট ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে অযূ করে।
 


7. ঋতুবতী স্ত্রীর সঙ্গে যা কিছুর অনুমতি রয়েছে :

হ্যা, স্বামীর জন্য ঋতুবতী স্ত্রীর সঙ্গে যোনি ব্যবহার ছাড়া অন্য সব আচরণের অনুমতি রয়েছে। স্ত্রী পবিত্র হবার পর গোসল করলে তার সঙ্গে সবকিছুই বৈধ। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ......… সবই করতে পারবে কেবল সঙ্গম ছাড়া।
 


8. স্ত্রী সান্নিধ্যের গোপন তথ্য প্রকাশ না করা :

বিবাহিত ব্যক্তির আরেকটি কর্তব্য হলো স্ত্রী সংসর্গের গোপন তথ্য কারো কাছে প্রকাশ না করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তি সবচে নিকৃষ্ট বলে গণ্য হবে যে তার স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হয় এবং স্ত্রী তার ঘনিষ্ঠ হয় অতপর সে এর গোপন বিষয় প্রচার করে।
 

কার্টেসিঃ মাওলানা মিরাজ রহমান

Because hair is falling? & Excess hair care.

আমাদের চুল লম্বা হোক কিংবা ছোট  হোক কম বেশি সবাই চুলে স্টাইল করতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে বিয়ের অনুষ্ঠান অথবা ঘরোয়া কোন পার্টি সবাই চায় সবাই চায় চুলটি একটু ভিন্নভাবে বাঁধতে। আপনার সুন্দর হেয়ার স্টাইল বদলে দিতে পারে আপনার পুরনো লুক। তাই চুল আমাদের শরীরের সবার বিশেষ একটা অঙ্গ।


চুল পড়ে যাওয়ার কারনঃ

 

 


সাধারণত চুল পরে যাওয়ার অনেক কারণ থাকে তবে বিশেষ কিছু কারণ আছে যা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলঃ

১) পারিবারিক ইতিহাসঃ যদি আপনার বাবা অথবা মায়ের কম বয়সে চুল পেকে গিয়ে থাকে, তবে আপনার ক্ষেত্রেও তা হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এই ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আসলে আপনার জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের মাঝেই বিদ্যমান থাকে।

২) সিগারেটের বিষাক্ত ধোঁয়াঃ আপনি নিজেই ধূমপান করুন বা নাই করুন অথবা বাড়ির অন্য কেউ করুক, সিগারেটের বিষাক্ত ধোঁয়া আপনার চুলের রঙে আনতে পারে পরিবর্তন। অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের চুল অকালে পেকে যাবার সম্ভাবনা আড়াই গুণ বেশি হয়।

৩)পরিবর্তন আসছে আপনার হরমোনেঃ কয়েক বছর আগের অথবা কয়েক মাস আগের নিজের একটা ছবি দেখলেই আপনি খুব সহজে বুঝতে পারবেন আপনার চুলে সময়ের সাথে পরিবর্তন আসছে। মূলত সময়ের পরিবর্তনের সাথে হরমোনে পরিবর্তন আসে বলেই এসব পরিবর্তন দেখা যায়। সাধারণত চুল পাকার পেছনেও দায়ী এই হরমোন।

৪) আপনার শরীরে একটা অটোইমিউন জটিলতা আছেঃ আমাদের শরীরে অ্যালোপেশিয়া অ্যারিয়াটা নামের একটি অটোইমিউন ডিজিজ আছে যা কিনা আমাদের ত্বক এবং চুলকে প্রভাবিত করে অনেক বেশি। এই জটিলতায় আক্রান্ত মানুষের পুরো মাথা এমনকি পুরো শরীরেই চুল পরে যেতে পারে।

৫) আপনি দূষিত পরিবেশে বসবাস করেনঃ টক্সিন এবং দূষক পদার্থ আপনার চুল খুব দ্রুত পাকিয়ে ফেলতে পারে। টক্সিন মেলানিনের উৎপাদনকে প্রভাবিত করে এবং আমাদের চুল পাকার হাড় বাড়ায়।

৬) আপনি প্রচুর স্ট্রেসের মাঝে আছেনঃ এই বিষয়টা আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি যে স্ট্রেস এবং দুশ্চিন্তা মানুষের চুল পাকিয়ে দেয় এমনকি এতে করে মাথার সব চুল পরে যায়। অনেক সময়েই মায়েরা বলে থাকেন বাচ্চার জন্য চিন্তায় তার চুল পেকে ও পরে যাচ্ছে।

এছাড়াও আরও বিশেষ কিছু  কারণ আছে যে কারণে অল্প বয়সে আপনি হারাচ্ছেন আপনার সুন্দর ও পরিবর্তন হচ্ছে আপনার চুলের

প্রয়োজনীয় পরিমাণে পুষ্টির অভাব
শরীরে থাইরয়েডের সমস্যা
অ্যানিমিয়া এর কারণে
সঠিক যত্নের অভাব


চুলের বাড়তি যত্নঃ

 


 

এখন আপনি কিছু বিষয়ে বাড়তি যত্ন নিলে ফিরে পেতে পারেন আপনার হারানো সুন্দর চুল। আসুন এবার জেনে নাওয়া যাক বাড়তি কিছু চুলের যত্নঃ

১) যদি পারেন নিয়মিত চুলে ব্রাশ করুন। আস্তে আস্তে চুল আঁচড়ান। একটু খেয়াল রাখুন আঁচড়ানোর সময় যেন চুল না ছিড়ে।

২) আমরা সব সময় হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করি। এটা ঠিক না, হেয়ার স্প্রে বেশি ব্যবহার করবেন না।

৩) আপনার চুল যদি রুক্ষ হয় তাহলে রুক্ষ চুলে শ্যাম্পু করার অন্তত এক ঘণ্টা আগে তেল লাগান। শ্যাম্পু করার পরই গোড়া বাদ দিয়ে কন্ডিশনিং করতে ভুলবেন না।

৪) আপনি প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ বার চুলে ব্রাশ করুন। এতে করে আপনার মাথার রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে ও চুল চকচকে হবে। শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই ব্যবহৃত ব্রাশ, চিরুনি পরিষ্কার করে রাখা ভাল।

৫) অনেকেই দেখা যায় প্রচুর পরিমাণে জেল ব্যবহার করতে। অনেক বেশি জেল চুলের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকারক।

৬) নিয়মিত প্রোটিন যুক্ত খাবার খান। আপনার খাদ্য তালিকায় যেন ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ভিটামিস সি ভিটামিন ই যেন অবশ্যই থাকে। 



শীতে ত্বকের যত্ন নিন টপ ১০ টিপস
মুখে দুর্গন্ধ দূর করুন মাত্র ৭টি উপায়ে

Welcome to Samsung mobile world. The Samsung Galaxy C7 Pro is powered by a Octa-core 2.2 GHz & 5.7 inches, Camera 16 MP & 16 MP, 4 GB RAM & 64 GB Storage, Android OS, v6.0.1 (Marshmallow), 3300 mAh battery. Dual SIM, Connectivity options include Wi-Fi, GPS, Bluetooth, NFC, FM, 3G, 4G. Samsung Galaxy C7 Pro Price in USA: $449.
Samsung Galaxy C7 Pro More Details

What is Yaba

What is Yaba? ইয়াবা কি?



১। ইয়াবা কি?

( মেথঅ্যাম্ফিটামিন ৩৫+ ক্যাফেইন ৬৫% = ইয়াবা বা হিটলার চকলেট )

ইয়াবা আসলে কী জিনিসঃ এর মূল শব্দ থাই থেকে উতপত্তি । সংক্ষিপ্ত অর্থ পাগলা ওষুধ। অনেকে একে বলে ‘ক্রেজি মেডিসিন’ বলেন । মূল উপাদান মেথঅ্যামফিটামিন। ইহা একটি নেশা জাতীয় ওষুধ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইযাবা কে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হয়, যেমন: হিটলার চকলেট, ক্রেজি মিডিসিন, হিটলারস্ ড্রাগ, সাবু, বুলবুলিয়া , ইন্ডিয়াতে বলে ভুলভুলাইয়া, ফিলিপাইনে ও ইন্দোনেশিয়ায় বলে শাবু,উওর থাইল্যান্ডে এর নাম চাকোস, সাউথ আফ্রিকায় বলে টিংকু, ব্রাজিলে বলে বালা ও বাংলাদেশে ও ভারতের কোন কোন এলাকায় ইয়াবাকে ”বাবা” ও বলে ইত্যাদি ( Drug Class: CNS stimulant, sympathomimetic, appetite suppressant- gamma-Hydroxybutyric acid– Newly approved illegal drugs by the– WHO )


২। ইয়াবা তে কি কি থাকে?


 ( Ingredients)
ইয়াবার মুল উপাদান হল মিথাইল অ্যামফিটামিন ৩৫% + এবং ক্যাফেইন – ৬৫% = ইয়াবা আবার মিথাইল অ্যামফিটামিন তৈরি করা হয় ephedrine ২১% + এবং psuedoephedrine ৩৫% থেকে । ephedrine হচ্ছে ফুসফুস থেকে কাশি বাহির করার একটি ঔষধ , অন্য দিকে psuedoephedrine তৈরি করা হয় Acetone + Rubbing and isopropyl alcohol + Iodine + Starter fluid (ether) + Gas additives (methanol)+ Drain cleaner (sulfuric acid)+ Lithium batteries+ Rock salt+ Matchbooks (red phosphorus) = psuedoephedrine যা আধুনিক ভাবে ১০০০ পিচ তৈরি করতে ৮ ঘন্টার প্রয়োজন হলে এই বিষাক্ত পদার্থ উৎপাদন করতে গিয়ে কার্বন লেভেল ৬ গুন বৃদ্ধি পায়।



৩। হিস্ট্রি অব মেডিসিন

 

 ( একটু বেশী লিখলাম এই কারণে — বাংলাদেশে প্রতি বছর ড্রাগস লেভেল -এর আওতায় , শুধু ইয়াবাতেই ১০ লাখের ও বেশী ছেলে মেয়ের জীবন বিপন্ন হইতেছে- তাই সকলের জেনে রাখা ভাল বা জেনে শুনে কেউ যদি নষ্ট হয়, তখন মনে করব সে তার নিজের ইচ্ছাতেই নষ্ট হল- তবে ইউ কে তে ইয়াবার তেমন মার্কেট নাই ভিন্ন কারণে )
সর্ব প্রথম ১৯১৯ সালে জাপানে এম্ফিটামিন থেকে ইয়াবা’র মূল উপাদান মেথএম্ফিটামিন তৈরি করা হয় ।যদি ও সে সময় এই দুটি রাসায়নিক (এম্ফিটামিন এবং মেথএম্ফিটামিন) নাকের ছিদ্র খোলা রাখার ঔষধ (Nasal Decongestant) এবং ব্রঙ্কিয়াল ইনহেলার (Bronchial Inhaler) হিসেবে ব্যাবহার করা হত –
পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন, জার্মানী এবং জাপান তাদের সৈনিকদের শ্রান্তি বিনোদনে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে জাগিয়ে রাখা সহ মানশিক পার্ফর্মেন্স কে উন্নত রাখার কাজে ভিন্ন ভাবে মেথএম্ফিটামিন ব্যবহার করা হয় (নিদ্রাহীনতা, মনকে উৎফুল, চাঙ্গা রাখার জন্য ) এবং এতে সেনারা হতো হিংশ্র, ক্লান্তিহীন ও আগ্রাসী এবং অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনকারীদের কে দিয়ে আত্মহত্যা জাতীয় সুইসাইড করানো হত, সে জন্য স্কয়ারড টিমের সেনারা ইয়াবাই বেশী ব্যাবহার করত।

প্রমান অনুসারে ইয়াবা আসক্ত হয়ে যুদ্ধ ফেরত সেনারা মানসিক অবসাদ গ্রস্ততায় ভুগে অনেকে আত্মহত্যা বা আরও অনেক হিংস্র কাজ করেছে বা অনেকেই নিজে নিজে গুলি করে মারা গিয়েছে । এরপর ই ১৯৫০ সালে মেথএম্ফিটামিন ট্যাবলেট জনগনের হাতের নাগালে চলে আসে। কারন তখনকার সময়ে শ্রমিক ঘাটতি ছিল প্রচুর , সে জন্য অনেক কেই বাধ্য হয়ে বাড়তি কাজ করতেই হত , আর তখন শ্রমিকরা ইয়াবা সেবন করতেন আলস্য, ক্ষুধা দূরে থাকা, নিদ্রায় না পড়া, যৌন শক্তি বৃদ্ধি ইত্যাদির জন্য বা এর পর পর ই ছাত্র, এথলেটিক্স ও অন্যান্য পেশার সবাই ইয়াবা গ্রহণে আগ্রহ বেড়ে উঠে । এরপর – ধীরে ধীরে এর কুফল বা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া উদঘাটিত হতে থাকায় বিশ্বব্যাপী এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। বা এখন আর ইউরোপিয়ান বা অ্যামেরিকান দেশ সমূহে ইয়াবার বাজার নাই বলা যায় ।
সাউথ এশিয়ায় ১৯৮৯ সালে মিয়ানমারে জন্ম নেয়া ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি (United Wa State Army বা UWSA) নামের একটি ইন্সারজেন্ট দল ও হিটলার সেনাদের মত কাজ করে বা সেখানে প্রথম একচাটিয়ে ব্যাবসা ও শুর করে এবং একক ভাবে সর্ববৃহৎ ইয়াবা প্রস্তুতকারী/সরবরাহকারী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয় মিয়ানমার । এরপর ইহা কোকাং নামের আদিবাসী ( এই গোষ্ঠীর লোকজন পূর্বে আফিম এবং হেরোইন উৎপাদন এর সাথে জড়িত ছিল বেশী ) সম্প্রদায়ের মাধ্যমে থাইল্যান্ডে ছড়িয়ে পরে এবং সেখানে কয়েকশত কোম্পানি ও গড়ে উঠে ( বা এখন ও ইয়াবার সর্গ স্থান থাইল্যান্ড কে বলা হয় ) এরপর অতি সু কৌশলে ভারত ও বাংলাদেশে সেই বাজার ছড়িয়ে দেওয়া হয়, দেশের শীর্ষ কিছু কর্ণধারদের কে লোভ দেখিয়ে । , ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে ইয়াবার আবির্ভাব ঘটে। পরবর্তী সময়ে ২০০০ সাল থেকে সীমান্তপথে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে চোরাচালান হয়ে তা দেশে অনুপ্রবেশ করতে থাকে কিন্তু দাম বেশী থাকায় সাধারণ পরিবারের ছেলে মেয়েরা কিনে সেবন করতে পারতনা বিধায় উচ্চ পরিবারের সন্তানরা ইয়াবার নেশায় আসক্ত হয়েছেন বেশী । New Samsung Galaxy



৪। ইয়াবা কিভাবে কাজ করে ? এবং কেন সবাই খুবই সহজে আকৃষ্ট হয়ে যায় !



( ড্রাগস ক্রাইম অব সাউথ এশিয়া )
যেমন ঃ প্রথমে তার বিশেষ স্পর্শ কাতর বিষয় সমূহ বা অনুভূতি – যৌন উক্তেজনা, ঘুম, ক্ষুধা, চিন্তা মুক্ত থাকা – ইত্যাদির কথা বলে অন্যান্য বন্ধুরা খাওয়ানোর চেস্টা করে বা অনেকে মডার্ন পার্টি ডেন্সিং ইত্যাদির নাম করে সেখানে নিয়ে গিয়ে ভিন্ন মদ জাতীয় পানীয় সাথে মিশয়ে খাওয়ানোর চেস্টা করে,সে সময় বিশেষ কিছু ইতর ভদ্র মানুষের যৌন আকর্ষণ জাতীয় লোভ লালসা ঢোকে পড়লে, মহিলাদের কেই বেশী ট্রাপ করে । এরপর ও বিশেষ কিছু ড্রাগ ব্যাবসায়ি আছে যারা প্রথমেই সামাজিক ভাবে প্রতিস্টিত ব্যাক্তির ছেলে মেয়েদের অথবা ব্রিলিয়েন্ট ছাত্র/ ছাত্রী দেরকে ট্রাপ করার চিন্তা ভাবনা করে , এবং এতে করে উক্ত এরিয়ায় খুভ সহজেই ব্যাবসা প্রসারিত ও আধিপত ধরে রাখে, বা তাদের কে হেফাজত করতে ও দেখা যায় বড় বড় দেশ রক্ষাকারী ভক্ষকদের কে ও !!!! – ইত্যাদি –

যারা প্রথম ইয়াবা ট্যাবলেট সেবন করে তাদের কাছে আঙুর, কমলা বা ভ্যানিলার ফ্লেভারের চকলেটের মতই মনে হবে, যার কারণে প্রথম সেবন কারী এর প্রচণ্ড ক্ষতিকর প্রভাবটুকু বুঝতে পারে না বরং – ৩০ মিনিট পর আস্থে আস্থে অন্যান্য স্পর্শ কাতর অনুভূতি সমূহ প্রকাশ পায় বা সে সময় পৃথিবীর সবচেয়ে সুখকর পরিবেষে আছে মনে হবেই, ইয়াবার আনন্দ আর উত্তেজনা আসক্ত ব্যক্তিদের সাময়িকভাবে ভুলিয়ে দেয় জীবনের সব যন্ত্রণা। তারা বাস করে স্বপ্নের এক জগতে। এই ভয়ানক মাদক সেবন করলে মনে উত্ফুল্ল ভাব তৈরি হয়, মুড হাই হয়ে যায়।
তখন ! এভাবে দ্বিতীয় বারে, এমনিতেই তা সেবন করার ইচ্ছা জাগবেই এবং তৃতীয় বার থেকে আর কেউ বলা লাগেনা ইয়াবা সেবন করার জন্য – তখন আসক্ত কারী নিজে নিজেই খোঁজতে থাকবে বা এর জন্য যা যা করতে হবে সব কিছুই করে যাবে …অর্থাৎ সেই মরন নেশার জগত থেকে ফেরা ৯১% বেলায় অসম্বভ হয়ে পরে ।
৬০% মাদকসেবী ট্যাবলেটটি মুখেই গ্রহণ করে। অনেকে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের ওপর রাখা ট্যাবলেটের অপর প্রান্তে তাপ দিয়ে একে গলিয়ে ফেলে। এরপর সেখান থেকে যে বাষ্প বের হয়, তা নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে। আবার ট্যাবলেটটি গুঁড়ো করে, পানিতে মিশিয়ে সিরিঞ্জের মাধ্যমে শিরাপথে সরাসরি রক্তেও ঢুকিয়ে দেয় অনেকে | বেশি আসক্তরা শিরাপথেও এটা নিয়ে থাকে ।




৫। ইয়াবা কিভাবে কাজ করে ?এবং সত্যি কি ইয়াবা যৌন শক্তি ও দেহের ওজন কমায় ?







ইয়াবা নাক দিয়ে টেনে গ্রহন করলে ৫/১৫ মিনিট এবং ট্যাবলেট বা ড্রিংকের সাথে সেবন করলে ৩০/৪০ মিনিট পর খুভ বেশী পরিমাণ অ্যাড্রেনালিন
( অ্যাড্রেনালিন হচ্ছে কিডনির গ্রন্থি নিঃসৃত এক ধরনের হরমোন। সাধারণত মানুষ ভীত বা রাগান্বিত হলে অ্যাড্রেনালিন হরমোন মানুষকে শান্ত ও স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। তবে অত্যধিক মানসিক চাপ বা অশান্তির সময় এ হরমোনের কারণে মানুষের চুলের রং পরিবর্তিত হয়ে যায়। )
এবং নরঅ্যাড্রেনালিনের (নরঅ্যাড্রেনালিনের নিউরোনে গমন প্রতিহত করে, ফলে বিসন্নতা কমে যায় এবং মনোভাবের উন্নতি ঘটে)
হরমোন নিঃসৃত হতে থাকে এবং সেই সাথে মস্থিস্কের নিউরোট্রান্সমিটারে প্রচুর পরিমাণে ডোপামিন ঝরতে দেখা যায় বা মারাত্মক ভাবে উজ্জেবিত করে (ডোপামিন মস্তস্কের আনন্দ অনুভূতি বাড়িয়ে দেওয়ার একটি হরমোনের নাম ), সেই ডোপামিন অন্যান্য এনজাইম কে প্রেস করে শক্তি যোগায় বা রিজার্ভ শক্তি থেকে তা বাড়িয়ে দেয়, সাধারণ উক্তেজনার চাইতে চাইতে ৬ গুন বেশী পরিমাণে ।
সে কারণে ড্রাগ সেবনকারীরা ইয়াবা সেবন করার পর নিজে নিজে ঘোড়ার মত শক্তি ও যৌনতা অনুভব করে বা সে সময় সে ৩/৪ দিন কিছু না খেলে ও তার তেমন অসুবিধা হয়না , তার কারন মেটাবোলিজম প্রক্রিয়া অন্যান্য সময়ের চাইতে ১০ গুন বেশী বৃদ্ধি পেয়ে লিভারের রিজার্ভ শর্করা ও ফ্যাট পুড়িয়ে দেয় , তাই উপস্থিত সময় দেখা যায় শরীরের মেদ কমে গেছে । বিষয় টি সত্য হলেও যখন পুনরায় খাবার ঠিকমত খেতে থাকে তখন লিভার আগের চাইতে দিগুণ ভাবে ফ্যাট ও শর্করা জমা করে রাখে তখন চামড়ার কোষ সমূহের ইলাস্ট্রিসিটি নষ্ট হয়ে স্থূলতা দ্রুত বৃদ্ধি পায় । তাই ওজন কমানোর নাম করে এ সব ড্রাগ সেবন করা মানেই নিজের ন্যাচারেল জিবন কে ধ্বংস করার সামিল –
ঠিক তদ্রূপ যৌন উক্তেজনা বাড়িয়ে দেয় সে কথা ও ঠিক কিন্তু কয়েকবার সেবনের ফলে আগের মত যৌন উক্তেজনা বৃদ্ধি পায়না । তখন ডোজের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হয় এবং ৩৭ মাসের ভিতরেই ৭৪% যৌন শক্তি হ্রাস পেয়ে এন্ড্রোজেন হরমোন সমূহ নিঃসরণ চিরস্থায়ী বন্ধ হতে দেখা যায় । অন্য দিকে ইয়াবা সেবনে ঘুম একেবারে কমিয়ে দেয় বা রিজার্ভ শক্তি বৃদ্ধির ফলে সাময়িক ক্লানিত চলে যায় তা ঠিক ( কারন সিরাকার্ডিয়ান ক্লক বা বায়ো ক্লকের বাল্ব খুলে যায় বিধায় ঘুম হয়না এবং সেরোটোনিন হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় ) হলেও তা ক্ষন স্থায়ী , যত সময় ইয়াবার কর্ম ক্ষ্যামতা থাকবে ঠিক তথো সময় এর গুন থাকবেই অর্থাৎ সাময়িক বা ক্ষণস্থায়ী বরং ক্যাফেইন যোগ করার কারণে কোন কোন সময় কোকেন ও মিথাইল অ্যামফিটামিনের চেয়ে শক্তিশালী কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপক , সে জন্য খুব তাড়া তাড়ি কেন্দ্রীয় স্নায়ু তন্ত্রের বেশী ক্ষতি কারক ।
রিসার্চ অনুসারে ঃ একজন নতুন সেবনকারী ১০ মিগ্রা সমপরিমান (মেথঅ্যাম্ফিটামিন ) ইয়াবা ট্যাব্লেট সেবন করলে প্রথম ধাপেই সেই সুখ, শক্তি বা যৌন উক্তেজনা প্রবল ভাবে অনুভব করবেই কয়েক মিনিটের ভিতর যা কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে , দ্বিতীয় ধাপে মাত্রা কিছু বাড়াতে হয় ২৫/ ৫০ মিগ্রা তৃতীয় ধাপে ৬০ মিগ্রা এর উপরে এভাবে নতুন ড্রাগ সেবন কারী পুনরায় প্রথম ধাপে আর ফিরে আসতে পারেনা , যা ৮৭% বেলায় ২৮ থেকে ৯০ দিন ধরা হয় । ( প্রথম স্থরেই যদি উক্ত ড্রাগ সেবনকারীকে কঠিন নিয়মের আওতায় নিয়ে আসা যায় তা হলে ১০০% আসা করা যায় তার মস্থিস্কের নিউরোট্রান্সমিটার (মেথঅ্যাম্ফিটামিন ) ইয়াবার প্রতি আসক্তা কমানো সম্বভ ।



৬। কেন ড্রাগ সেবন কারীরা ভিন্ন ধরণের অপরাধে বেশী জড়িত হয়?




যদি ও নতুন ড্রাগ সেবনকারীদের বেলায় ড্রাগ আসক্তি পুনরায় আসতে সময় লাগে তবে পুরাতন সেবনকারীদের বেলায় , কয়েক ঘন্টা পর যখন ইয়াবার কার্যক্ষমতা চলে যায় তখন মস্থিস্কে সেরোটোনিন এত টা বৃদ্ধি পায় যে নেশাকারীর মেজাজে একটা গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে এবং পুনরায় ড্রাগ সেবন করার জন্য পাগল হয়ে উঠে অর্থাৎ তখন নিউরো জংশন সমূহে Endorphins হরমোন নিঃসরন বন্ধ হয়ে যায় বা কমে যায় । সে কারণে ড্রাগ পাওয়ার জন্য উক্ত নেশা কারী যে কোন ধরণের মারাত্মক ক্ষতি করতে একটু ও বিবেক খাটাতে পারে না , প্রয়োজনে ওরা আত্মহত্যা জাতীয় কিছু করা বা নিজের গর্ভ ধারিণী কে হত্যা করা তেমন অস্বাভাবিক কিছু নয় ।
 

৭। ইয়াবা সেবনে কি কি সমস্যা দেখা দেয়?


 নতুন পর্যায়ে নেশাকারীদের যা দেখা যায় ঃ ২য় থেকে ১২ সপ্তাহ )
বেশ কয়েক ঘন্টা পরে ( ৮/১০ ঘন্টা পর , নতুনের বেলায় ২৬ ঘন্টা ) ইয়াবা ব্যবহারকারীর যা অনুভব হয় ( সে সময় যদি ইয়াবা সেবন না করে ) চিন্তা শক্তি হ্রাস, ক্ষুধা কমে যাওয়া , শ্বসন এবং হাইপোথারমিয়া ( শরীরের তাপমাত্রা একেবারে নিম্নে চলে যাওয়া বা নর্মাল তাপমাত্রা বজায় রাখতে অক্ষম ) সেই সাথে • আনন্দ-চঞ্চল অবস্থার স্থিরতা – অনিদ্রা– বিরক্ত এবং আগ্রাসনি মনোভাব — বমি বমি ভাব — খারাপ স্মৃতিচারণায়, শুকনো মুখ, এবং ঘাম– মস্তিষ্কের মধ্যে ছোট রক্তনালীসমূহ ড্যামেজ – বাড়তি সতর্কতার ভাব , অনিদ্রা, এবং মাংসপেশির ব্যাথা – অতিরিক্ত হৃদস্পন্দন, শিরার টান , রক্তচাপ, এবং শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত পরিবর্তন ইত্যাদি দেখা যায় ।

পুরাতন পর্যায়ে নেশাকারীদের যা দেখা যায় ( ১৬ সপ্তাহের পর) ঃ
শরীরে কম্পন বা কাঁপুনি – উচ্চরক্তচাপ– হ্যালিকাশ ( বিভ্রান্তি মূলক মায়া, কল্পনা, দৃষ্টি, মিথ্যা কল্পনা বা আশ্বাসে সান্ত থাকা ,বাজে প্রলাপ,এবং অহেতুক বানোয়াট মিথ্যা কথা বলা যার প্রাসঙ্গিক বিষয়ের উপর মিল থাকে না ইত্যাদি ) – মানসিক বিভ্রান্তি – হিংসাত্মক আচরণ– হাইপারথার্মিয়া ( উচ্চ শরীরের তাপমাত্রা এবং খিঁচুনি কখন ও সে কারণে মৃত্যু হতে পারে ) উদ্বেগ, এবং ভয়–উত্কণ্ঠা, মানসিক বিভ্রান্তি এবং সৃতি শক্তির ক্ষতি ও নার্ভাস হওয়া – চুল চিড়তে থাকা সহ
সিজোফ্রেনিয়া ( ইহা মানসিক একটি ব্যাধি , জীবন নিয়ে মিথ্যা বা ভ্রান্ত বিশ্বাস , সিজোফ্রেনিক রোগীদের ৫০ শতাংশ আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এর মধ্যে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মারা যায় )
হ্যালুসিনেসান ঃ ( ইন্দ্রিয়জাত কোন উদ্দিপকের উপস্থিতি ছাড়াই কোন কিছু উপলব্ধি করা, যেমন- গায়েবি কোন শব্দ,অবাস্তব কিছু দেখা, কোন কিছুর স্পর্শ ,স্বাদ বা ঘ্রান অনুভব করা। অনেকেই তার সঙ্গে শত্রুতা করছে। তারা অনেক সময় মারামারি ও সন্ত্রাস করতে পছন্দ করে। কারও কারও শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, খিঁচুনি হয়। খিটখিটে ভাব, অহেতুক রাগারাগি, ভাঙচুর, নার্ভাসনেসে ভুগতে থাকে ইয়াবা আসক্ত ব্যক্তিরা। )
অবশেষে স্থায়ী ভাবে মস্থিস্কের বিকৃতি ঘটে ৬০% বেলায় অথবা মৃত্যু অনিবার্য হয়ে উঠে । সে সময় হেপাটাইটিস অথবা এইডস ভাইরাস ট্রান্সমিশন হওয়ার সম্বাভনা বেশী থাকে এবং অন্যান্য কঠিন অসুখের মধ্যে ফুসফুস, কিডনি অথবা লিভারের যে কোন মারাত্মক অসুখের সৃষ্টি হতে পারে।



৮। কিছু ভুল ধারনা :

ড্রাগে আসক্ত ব্যাক্তিদের ধারনা তাহারা কোকেন বা হিরোইন সেবন করিতেছে তাও ভুল ? আধুনিকতার নামে বাড়া বাড়ি করে ইয়াবা বা ঐ জাতীয় উক্তেজক কিছু সেবন না করলে স্মার্ট হওয়া যায়না তাও ভুল, অনেকের ধারনা ড্রাগে আসক্ত থাকলে সন্ত্রাসী হওয়া যায় তাও ভুল বরং পেশাগত সন্ত্রাসী লিডারের ছোবলে পড়ে ধ্বংস হতেই হয় ওদের সাময়িক প্রয়োজন শেষে ।
সে কারণে অনেকে মনে করেন হিরোইন বা কোকেন ড্রাগস সেবন করিতেছে – এখানে আরেকটি বিষয় মনে রাখা দরকার , হিরোইন বা কোকেন বাংলাদেশের লাখে একজনের ও সেবন করার মত সাধ্য নাই , কেন না ১০ মিগ্রা দাম লক্ষ টাকা , তাই হিরোইন বা কোকেন সেবন করিতেছে ইহা ঠিক নয় বরং যত নোংরা পদার্থ দিয়ে তৈরি ইয়াবা বা ঐ ধরণের ড্রাগস কে হিরোইন মনে করে সেবন করে এবং যার ভয়ানক পরিনিতি ও অন্য রকম । ( এখানেই ড্রাগস ব্যাবসায়িরা তৃতীয় বিশ্বের বেলায় দামের লেভেল ৭ এর -উপরের কোন ড্রাগস বিক্রি করার চেস্টা করেনা – যদি ও মাঝে মধ্যে ঐ সব দেশ কে রোড ট্রান্সিট হিসাবে ব্যাবহার করা হয় , অন্যান্য দেশে পাঠানোর জন্য, তখন কিছুটা ধরা পড়ে )

৯। প্রতিরোধঃ





ইয়াবা আসক্তি প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা অনেক সহজ। সুতরাং প্রতিরোধের উপর বেশি মনোযোগ দেওয়া সবচেয়ে উত্তম । সামাজিক ভাবে ড্রাগে আসক্তকারিকে যতটুকু পারেন সাহায্য করা তবে অবশ্যই ড্রাগ ব্যাবসায়ি বা জোগান দাতাদের কে সামাজিক ভাবে ঘৃণা এবং তিরিস্কার করা উচিৎ । আমার ব্যাক্তিগত মতে ড্রাগ ব্যাবসায়িরা শুধু অপরাধী নয় এরা দেশ ও জাতীর শত্রু । একজন ড্রাগ ব্যাবসায়ির ধারা একটা দেশে লক্ষ লক্ষ তরুন তরুণী বিপথগামী হয়ে থাকে, যা অনেক সময় একটা দেশের শীর্ষ মেধা শক্তি বিনষ্ট হয়ে যায় । সে জন্য কঠোর আইন ও সামজিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি খুভ বেশী গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ ।

চিকিৎসা ঃ— ইয়াবা কোকেনের সমপর্যায়ে স্নায়ু বিক উক্তেজক ( নারকটিক্স ) ও হরমোন স্টিমউলেটর বিধায় অনুগ্রহ পূর্বক কোকেন অধ্যায়ে বিস্থারিত দেখুন — তবে ইয়াবা সেবন কারী কঠোর নিয়ম মেনে চলতে পারলে ৮০% ভাল হওয়ার আসা করা হয়ে থাকে এবং সে জন্য । মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা করা উচিৎ । সেই সাথে সাইকোথেরাপি ও অন্যান্য উপায়ে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবনযাপন পদ্ধতিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা এবং আত্মীয়স্বজন ও প্রকৃত ভালো বন্ধুরও এ সময় একান্ত প্রয়োজন । খেয়াল রাখবেন কোন অবস্থায় যেন পুরানো বন্ধু, যারা ড্রাগের সাথে সহযোগী অথবা বিক্রেতার দেখা না পায় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা অথবা প্রয়োজনে আগের পরিবেষ সম্পূর্ণ পরিবর্তন করতে হবে ।


১০। ইয়াবা দিয়ে যারা নেশা করে তাদের চেনার লক্ষণগুলি কি কি?

 



ইয়াবায় আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে আসলে সঠিকভাবে চেনার কোনো উপায় নেই। তবে তার আচরণগত কিছু পার্থক্যের কারণে ধারণা করা যেতে পারে।

ইয়াবা হলো মেথাফেটামাইন ও ক্যাফেইনের মিশ্রণ। মাদকটি একাধারে মস্তিষ্ক ও হৃদ্যন্ত্র আক্রমণ করে। জেনে নিন একজন ব্যক্তির ইয়াবা সেবনের ফলে যে ধরনের শারীরিক ও আচরণগত পার্থক্য দেখা দেয়।

শারীরিক ও আচরণগত পার্থক্য
- মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে মনোসংযোগ বিচ্ছিন্ন মনে হয়।

- নিদ্রাহীনতা। একজন ইয়াবা সেবনকারীর ঘুম অস্বাভাবিক ধরনের হয়ে থাকে। এরা বেশ কয়েক রাত পর্যন্ত একেবারে না ঘুমিয়ে থাকতে পারে।

- শারীরিকভাবে খিঁচুনি দেখা দিয়ে থাকে।

- খাওয়ার রুচি একেবারেই থাকে না। আবার অনেক ক্ষেত্রে মিষ্টির প্রতি এক ধরনের আসক্তি তৈরি হয়ে থাকে।

- মস্তিষ্ক বিকৃতি দেখা দেয়। অর্থাৎ এরা কখন কী কাজ করছেন তার কোনো ধারণা থাকে। স্বাভাবিক স্মৃতিশক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এমনকি এরা মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলেন।

- অতিরিক্ত ইয়াবা গ্রহণ হাইপারথার্মিয়া বা উচ্চ শারীরিক তাপমাত্রার কারণ হতে পারে।

- ইয়াবা সেবনকারীরা প্রায় সময়ই হতাশায় ভুগে থাকেন।

- দীর্ঘদিন ইয়াবা সেবনকারী একজনের স্মরণশক্তি কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।

- এরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে থাকেন।

- ইয়াবা শান্ত স্বভাবের কোনো ব্যক্তিকে হিংস্র ও আক্রমণাত্মক করে তুলতে পারে।

- ইয়াবা গ্রহণে হ্যালুসিনেশন ও সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ইয়াবা থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা উচিত কেননা নিয়মিত ইয়াবা সেবনে একজনের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি, মস্তিষ্ক বিকৃতি, রক্তচাপ বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন, হার্ট অ্যাটাক, ঘুমের ব্যাঘাত, শরীরে কিছু চলাফেরার অস্তিত্ব টের পাওয়া, অস্বস্তিকর মানসিক অবস্থা, কিডনি বিকল, চিরস্থায়ী যৌন-অক্ষমতা, ফুসফুসের প্রদাহসহ ফুসফুসে টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে।





১১। ইয়াবার কি কোনো উপকারিতা আছে? নাকি এইটা শুধুই নেশার জন্য ব্যবহৃত হয়?



 


ইয়াবা- মাদকটির মূল উপাদান মেথঅ্যামফিটামিন। একসময় যা সর্দি ও নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ওষুধ হিসেবে ব্যবহূত হতো কোনো কোনো দেশে। ব্যবহার করা হতো ওজন কমানোর চিকিৎসায়ও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ক্লান্তি দূর করতে ও সজাগ থাকতে সেনাদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল মেথঅ্যামফিটামিন। পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষ বিশেষত শিক্ষার্থী, দীর্ঘযাত্রার গাড়িচালক ও দৌড়বিদেরা এটি ব্যবহার শুরু করেন।

বাংলাদেশের টেকনাফ বর্ডার দিয়ে মাদক হিসেবে ইয়াবা প্রথম প্রবেশ করে ১৯৯৭ সালে। ইয়াবা হলো মেথাফেটামাইন ও ক্যাফেইনের মিশ্রণ। মাদকটি একাধারে মস্তিষ্ক ও হূদ্যন্ত্র আক্রমণ করে। এর পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জার্মান প্রেসিডেন্ট এডলফ হিটলার তার মেডিকেল চিফকে আদেশ দিলেন দীর্ঘ সময় ব্যাপি যুদ্ধক্ষেত্রের সেনাদের যাতে ক্লান্তি না আসে এবং উদ্দীপনায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে বা বিমানের পাইলটের নিদ্রাহীনতা, মনকে উৎফুল, চাঙ্গা রাখার জন্য একটা কিছু আবিস্কার করতে।

টানা ৫ মাস রসায়নবিদগণ চেষ্টা চালিয়ে মিথাইল অ্যামফিটামিন ও ক্যাফেইনের সংমিশ্রনে তৈরি করলেন ইয়াবা। ব্যাস! হিটলারের উদ্দেশ্য সফল। সেনারা মানসিক শক্তিতে বলিয়ান হল।
ইয়াবার প্রতি আকর্ষণের কারণ

তরুণ-তরুণীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে মূল উপাদানের সঙ্গে মেশানো হয় আঙুর, কমলা বা ভ্যানিলার ফ্লেভার; সবুজ বা লাল-কমলা রং। ইয়াবা নামের ছোট্ট এ ট্যাবলেটটি দেখতে অনেকটা ক্যান্ডির মতো, স্বাদেও তেমনই। ফলে আসক্ত ব্যক্তিরা এর প্রচণ্ড ক্ষতিকর প্রভাবটুকু প্রথমে বুঝতে পারে না। একই কারণে এটি পরিবহন করা ও লুকিয়ে রাখাও সহজ।

অধিকাংশ মাদকসেবী ট্যাবলেটটি মুখেই গ্রহণ করে। অনেকে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের ওপর রাখা ট্যাবলেটের অপর প্রান্তে তাপ দিয়ে একে গলিয়ে ফেলে। এরপর সেখান থেকে যে বাষ্প বের হয়, তা নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে। আবার ট্যাবলেটটি গুঁড়ো করে, পানিতে মিশিয়ে সিরিঞ্জের মাধ্যমে শিরাপথে সরাসরি রক্তেও ঢুকিয়ে দেয় অনেকে।
কিভাবে কাজ করে

ইয়াবার আনন্দ আর উত্তেজনা আসক্ত ব্যক্তিদের সাময়িকভাবে ভুলিয়ে দেয় জীবনের সব যন্ত্রণা। তারা বাস করে স্বপ্নের এক জগতে। ইয়াবার প্রচণ্ড উত্তেজক ক্ষমতা আছে বলে যৌন-উত্তেজক হিসেবে অনেকে ব্যবহার করে এটি। ক্ষুধা কমিয়ে দেয় বলে স্লিম হওয়ার ওষুধ হিসেবে অনেকে শুরু করে ইয়াবা সেবন। ঘুম কমিয়ে দেয়, সারা রাতের পার্টির আগে ক্লান্তিহীন উপভোগ নিশ্চিত করতে অনেকের পছন্দ ইয়াবা।কিন্তু এই সাময়িক আনন্দের ট্যাবলেটটি যে তাদের ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে, তা টের পাওয়ারও অবকাশ সে সময় তাদের থাকে না।

প্রথমে কম ডোজে এ ট্যাবলেট কাজ করলেও ধীরে ধীরে ডোজ বাড়াতে হয়। আগে যে পরিমাণ ইয়াবা আনন্দ এনে দিত, পরে তাতে আর হয় না। বাড়তে থাকে ট্যাবলেটের পরিমাণ, ক্ষণস্থায়ী আনন্দের পর বাড়তে থাকে ক্ষতিকর নানা উপসর্গও।
উপকারিতা :

ইয়াবার কোনো উপকারিতাই নাই। বরং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক বেশি।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

রাত কাটে নির্ঘুম, ইয়াবা প্রতিক্রিয়ায় টানা সাত থেকে ১০ দিনও জেগে থাকতে বাধ্য হয় অনেকে। শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়তে থাকে, মেজাজ হয় খিটখিটে, গলা-মুখ শুকিয়ে আসতে থাকে অনবরত। প্রচণ্ড ঘাম আর গরমের অসহ্য অনুভূতি বাড়তে থাকে। বাড়ে নাড়ির গতি, রক্তচাপ, দেহের তাপমাত্রা আর শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি। দীর্ঘদিনের আসক্ত ব্যক্তিরা উচ্চরক্তচাপের রোগীই হয়ে পড়ে। মস্তিষ্কের ভেতরকার ছোট রক্তনালিগুলো ক্ষয় হতে থাকে, এগুলো ছিঁড়ে অনেকের রক্তক্ষরণ শুরু হয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়, মানসিক নানা রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, অহেতুক রাগারাগি, ভাঙচুরের প্রবণতা বাড়ে। পড়াশোনা, কর্মক্ষেত্র বা পারিবারিক জীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ে। সব ক্ষেত্রে ব্যর্থতা বা পিছিয়ে পড়তে থাকায় আসক্ত ব্যক্তিরা বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়।

কারও কারও মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়। দৃষ্টিবিভ্রম, শ্রুতিবিভ্রম আর অস্বাভাবিক সন্দেহ প্রভৃতি উপসর্গ থেকে একসময় সিজোফ্রেনিয়ার মতো জটিল মানসিক ব্যাধিও দেখা দেয়। বেশি পরিমাণে নেওয়া ইয়াবা শারীরবৃত্তীয় স্বাভাবিক কার্যক্রমের ব্যত্যয় ঘটিয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। আর যারা সিরিঞ্জের মাধ্যমে দেহে ইয়াবা প্রবেশ করায়, তারা হেপাটাইটিস বি, সি ও এইডসের মতো মারাত্মক রক্তবাহিত রোগের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে।
চাইলেও ছাড়া যায় না কেন

ইয়াবার পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি আসক্ত ব্যক্তিরা এর ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। একবার ইয়াবা নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা বা নির্দিষ্ট সময় পর আবার না নিলে শরীরে ও মনে নানা উপসর্গ দেখা দেয়, ফলে বাধ্য হয়ে আসক্ত ব্যক্তিরা আবার ফিরে যায় নেশার জগতে।
কী করনীয়

তবে হ্যাঁ, যারা আবার ফিরে পেতে চায় স্বাভাবিক সুস্থ জীবন, তাদের নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। এমন নয় যে, আসক্ত ব্যক্তিরা আর কখনোই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে না। এ জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি আসক্ত ব্যক্তিদের আশার আলো দেখাচ্ছে, তারা ফিরে যেতে পারছে মাদকমুক্ত জীবনধারায়। ওষুধ, সাইকোথেরাপি ও অন্যান্য উপায়ে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবনযাপন পদ্ধতিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়, পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয় তার আগের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, যা তাকে মাদকাসক্ত হতে উদ্বুদ্ধ করেছিল।এতে মানসিক রোগ চিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানীর যেমন ভূমিকা রয়েছে, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পরিবার, স্বজন আর প্রকৃত ভালো বন্ধুরও। একজন নেশাসক্ত ব্যক্তি সবার সম্মিলিত সহযোগিতায়ই আবার ফিরে পেতে পারে মাদকমুক্ত সুস্থ জীবন।
ইয়াবার প্রতিকার ও প্রতিরোধ

ইয়াবা আসক্তি প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা অনেক সহজ। সুতরাং প্রতিরোধের উপর বেশি মনোযোগ দিতে হবে। এই মাদকের আগ্রাসন থেকে দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করতে প্রয়োজন সামগ্রিক প্রতিরোধ। আসক্ত ব্যক্তি, যিনি পুনরায় স্বাভাবিক সুস্থ জীবন ফিরে পেতে চায়, তাদের নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। এ কথা মোটেই সত্য নয় যে, তারা আর কখনোই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে না। শুধু মাত্র প্রয়োজন ধৈর্য সহকারে দীর্ঘমেয়াদি চিকিত্সা। একবার কেউ আসক্ত হয়ে গেলে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে ভালোভাবে বোঝাতে হবে, যাকে বলে কাউন্সেলিং। কোনক্রমেই বকাবকি, তালাবদ্ধ করে রাখা যাবে না। চিকিত্সার জন্য রাজি করিয়ে তার শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার চিকিত্সার পাশাপাশি মানসিক চিকিত্সার জন্য মনোরোগ চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে বিভিন্ন ধরনের চিকিত্সা পদ্ধতি আসক্ত ব্যক্তিদের আশার আলো দেখাচ্ছে। তারা ফিরে যেতে পারছে মাদকমুক্ত জীবনধারায়। ওষুধ, সাইকোথেরাপি ও অন্যান্য উপায়ে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবনযাপন পদ্ধতিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয় তার আগের পারিপার্শিক পরিবেশ, যা তাকে মাদকাসক্ত হতে উদ্ধুদ্ধ করেছিল। এতে মানসিক রোগ চিকিত্সক ও মনোবিজ্ঞানীর যেমন ভূমিকা রয়েছে, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পরিবার, আত্মীয়স্বজন আর প্রকৃত ভালো বন্ধুরও। একজন নেশাসক্ত ব্যক্তি সবার সম্মিলিত সহযোগিতায়ই আবার ফিরে পেতে পারে মাদকমুক্ত সুস্থ জীবন। আর প্রতিরোধ একক ভাবে কোনো ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ বা দেশের পক্ষে করা সম্ভব নয়। সবাইকে নিয়েই এই প্রতিরোধ যুদ্ধে নামতে হবে এবং এই যুদ্ধ চলমান রাখতে হবে। গড়ে তুলতে হবে মাদক প্রতিরোধ সামাজিক আন্দোলন।